চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের ছাত্রলীগে প্রয়োজন নেই: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুই বছর পর ছাত্রলীগের সম্মেলন হলে আজকের নেতৃত্বে যে ‘ট্রাফিক জ্যাম’, এটা থাকত না। আরও নতুন নেতৃত্ব বেরিয়ে আসত। এ জন্য সময়মতো সম্মেলন করতে হবে। চিহ্নিত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, সাম্প্রদায়িক শক্তির ছাত্রলীগে কোনো প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি কী চায় তারা নিজেরাও জানে না। একবার বলে সহায়ক সরকার, একবার বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আবার কখনো বলে নির্দলীয় সরকার। আসলে তারা কী চায়, তারা জানে না। বিভিন্নভাবে বিএনপি সংলাপের পরিবেশ নষ্ট করেছে। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, অন্য কোনো উপায়ে নির্বাচন হবে না। সমাবেশে ঢাকা জেলাকে দু’টি ইউনিটে বিভক্ত করার ঘোষণা দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ঢাকা জেলা ছাত্রলীগ অনেক বড় জেলা শাখা। কোথায় কেরানীগঞ্জ আর কোথায় ধামরাই? দু’জন নেতার পক্ষে নেতৃত্ব দেয়া যায় না। তাই এটাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে ঢাকা জেলা উত্তর ও দক্ষিণে বিভক্ত করে কমিটি দেয়া হবে। সেজন্য ছাত্রলীগের নেওয়া সিদ্ধান্ত সঠিক।
ছাত্রলীগের নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর সংগঠন। ছাত্রলীগ শেখ হাসিনার সংগঠন। এই ছাত্রলীগে ভাগাভাগি চলবে না। যোগ্যরাই হবে এই সংগঠনের নেতা। দলে অপরাধীদের প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের মাত্র এক বছর বাকি। অনুপ্রবেশকারীদের দলে থাকার দরকার নেই। চিহ্নিত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, সাম্প্রদায়িক শক্তির ছাত্রলীগে কোনো প্রয়োজন নেই। অনুপ্রবেশকারীদের কাছ থেকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারিখাত বিষয়ক উপদষ্টো সালমান এফ রহমান বলেন, আজকাল একটা জিনিস ফ্যাশনেবল হয়ে গেছে। সুশীল সমাজকে বলতে শুনি, টকশোতে বলতে শুনি এবং আমাদের নিজেদের মধ্যে অনেক লোকজন কথাটা বলে। ‘যদি ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন হয়, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ জিততে পারবে না’-এই কথাটার প্রতিবাদ করতে হবে। ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকরামুল নবী ইমুর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মান্নান, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন রাজিব প্রমুখ।