হার দিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) পঞ্চম আসর শুরু করেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে সেই হারের পর আর পিছনে ফিরে তাকায়নি দলটি। এরই মধ্যে অধিনায়ক হিসেবে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। ইনজুরির কারণে প্রথম তিন ম্যাচে ছিলেন না তামিম। আর নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে মাশরাফি বিন মুর্তজা, ক্রিস গেইল, ব্রান্ডন ম্যাককালামের দল রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে পেয়েছে সবচেয়ে বড় জয়। ৫ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দলটির অবস্থান এখন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। অন্যদিকে বন্ধু সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস ৬ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে শীর্ষে। আজ জিতলে শেষ চারের লড়াইয়ে আরো শক্ত অবস্থান তৈরি করবে সাকিব বাহিনী। তবে সাকিবদের টপকে আজ শীর্ষে উঠার সুযোগ তামিমের কুমিল্লারও। দুই বন্ধুর লড়াইটা যে জমজমাট হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে দলের তরুণ স্পিনার মেহেদী হাসান ও আফগান তারকা রশিদ খান যেভাবে গেইলদের উড়িয়ে দিয়েছে। তাতেই বলার অপেক্ষা রাখে না সাকিব-তামিমের লড়াইটি একপেশে হবে না। আজ দুুপুর ১টায় মিরপুর শেরে বাংলায় মুখোমুখি হবে দুই দল।
চিটাগাং ভাইকিংসকে হারিয়ে জয়যাত্রা শুরু করেছিল ভিক্টোরিয়ান্স। এমনকি ফিরতি দেখাতেও চিটাগাংকে হারায় দলটি। এছাড়াও তারা জয় পেয়েছে রাজশাহী ও রংপুরের বিপক্ষে। দলের অন্যতম ভরসা এখন ব্যাট হাতে তামিম ইকবাল। যদিও প্রথম দুই ম্যাচে তামিম ছন্দে ফিরতে পারেননি। আজ ঢাকার বিপক্ষে বড় ম্যাচ তাই দল তাকিয়ে থাকবে তামিমের দিকে। এছাড়াও ইমরুল কায়েস, স্যামুয়েলসরাও ব্যাট হাতে দলের বড় ভরসা। বল হাতে রশিদ ও মেহেদী ছাড়াও পেসার আল আমিন হোসেন ও তরুণ হোসেন আলীও দারুণ ভূমিকা রাখছেন দলের জন্য। অবশ্য প্রতিটি ম্যাচে কুমিল্লার জয়ে লড়াইটাই বড় ভূমিকা রেখেছে। কুমিল্লা দলটি এখন সব দিক থেকে ব্যালেন্স বলে মনে করেন তাদের কোচ। তার মতে, দলীয় প্রচেষ্টা থাকলে জয় আসবেই।
অন্যদিকে কুমিল্লার মতো বিপিএলের ৫ম আসরের প্রথম ম্যাচ হেরেই শুরু করেছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। কিন্তু পরের ৫ ম্যাচের ৪টিতে জিতেছে তারা। শুধু একটি ম্যাচে তারা মাঠে নামতে পারেনি বৃষ্টির কারণে। যে কারণে রংপুরের বিপক্ষে ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভগি করে নিতে হয়। ঢাকার অধিনায়ক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এখনো ব্যাটে-বলে নিজের সেরাটা দিতে না পারলেও তার দল রয়েছে কক্ষ পথেই। দেশি-বিদেশি সবার দারুণ পারফরম্যান্সে হয়ে উঠেছে ভয়ঙ্কর। শেষ দুই ম্যাচে দলের জয়ে ব্যাট হাতে ক্যারিবীয় দুই তারকা এভিন লুইস ও কাইরন পোলার্ডের ছিল দারুণ ভূমিকা। সেই সঙ্গে দেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে জহরুল ইসলাম অমি অবদান রাখেন। এছাড়াও, ব্যাট বলে দারুণ অবদান রাখছেন পাকিস্তানি তারকা শহীদ আফ্রিদি। সেই সঙ্গে লঙ্কান লিজেন্ড কুমার সাঙ্গাকারাও দলের ব্যাটিংয়ের বড় ভরসা। আর আসরে বল হাতে সর্বাধিক ১০ উইকেট শিকার ঢাকা ডায়নামাইটসের পেসার আবু হায়দার রনির।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn