আ.লীগ স্বৈরাচারের সাথে জোট করতে বাধ্য হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির জন্যই আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারের সাথে জোট করতে বাধ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মিলনায়তনে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ২৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ককে কৌশলগত’। ‘জাতীয় পার্টির সাথে সম্পর্ককে আদর্শগত নয়’ বলেও উল্লেখ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া এবং তার দল রাজাকারদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বলে আওয়ামী লীগ স্বৈরচারের সাথে জোট বেধেছে । সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলে গণতন্ত্র খাদে পড়েছে। আসলে মূল কথা হচ্ছে আজ বিএনপির রাজনীতিই খাদের কিনারায়। তারা (বিএনপি) আন্দোলনের নামে অতীতে পেট্রোলবোমা, ককটেল, আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। পুড়িয়ে মানুষ হত্যার চেয়ে জঘন্য আর কী হতে পারে? জনগণ কি সেই যন্ত্রণাময় অতীত ভুলে গেছে? ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বিএনপি যদি গত সংসদ নির্বাচনে আসতো তাহলে তাদের আজ এই অবস্থা হতো না। কেউ যদি নির্বাচনে না আসে তবে সে দোষ কার? সেই দায়ভার কার? নির্বাচনের ট্রেন তো আর কারো জন্য থেমে থাকে না। তারা সেই ট্রেন মিস করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে আগুন সন্ত্রাস করে গণতন্ত্র রক্ষার নামে বিএনপি যে আন্দোলন করেছিল, তা জনগণ মেনে নেয়নি। এ কারণেই তারা পরবর্তীতে কোনো আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। আর এই নৈরাশা থেকেই আজ দলটির নেতা-কর্মীরা দিশেহারা। ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো অগণতান্ত্রিক কথা বলে না, অগণতান্ত্রিক আচরণও করে না। বরং বিএনপি সব দিক থেকে এখন ব্যর্থ হয়ে অস্ত্রের ভাষায় কথা বলছে। তারা হাতুরি পিটিয়ে নিজেদের ঢোল বাজানোর চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য ২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সেই সময়ের মহাজোটের অধীনে জোটবদ্ধ হ্য় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি। ২০১৪ সালের ১০ম জাতীয় নির্বাচনে মহাজোট থেকে বের হয়ে আলাদা নির্বাচন করে জাতীয় পার্টি এবং বর্তমান সংসদে তারা প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় রয়েছে। বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. দীপু মনি, কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল হক, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।