চাবি ঘুরালেই প্রশ্নফাঁস বন্ধ হবে না : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, প্রশ্নফাঁস রোধে এমন কোনো চাবি নেই যে তা ঘুরালেই বন্ধ হয়ে যাবে। সুতরাং চাবি দিলেই প্রশ্নফাঁস বন্ধ হবে না। তবে আমরা প্রশ্নফাঁস বন্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মাধ্যমিকের পাঠ্যক্রম উন্নতকরণ নিয়ে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, এটা (প্রশ্নফাঁস) একটা অপরাধ। খুন একটা অপরাধ। খুনের সাজা ফাঁসি। ফাঁসি তো অনেক হচ্ছে। কিন্তু খুন তো থেমে থাকেনি। প্রশ্নফাঁসও বন্ধে হচ্ছে না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁস কোনো কালেই বন্ধ হয়নি। সব সময়ই প্রশ্নফাঁস হয়েছে। আমার শিক্ষার বয়স ৬০ বছর। তখন থেকেই প্রশ্নফাঁস ছিল। কিন্তু ওই সময় তো আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না। যে কারণে প্রচার কম হয়েছে। কিন্তু এখন প্রচার বেশি হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগে বিজি প্রেস থেকে প্রশ্নফাঁস হতো। কিন্তু এখন আমাদের কিছু অনৈতিক শিক্ষক প্রশ্নফাঁস করছে। এসব বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।
বইয়ের বোঝা কমছে
মাধ্যমিকে পাঠ্যবইয়ের বোঝা কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা। সভায় শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে চাপ কমাতে হবে। চাপ কমাতে পাঠ্যবই কমাতে হবে। তবে এ জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, জেএসসি ও জেডিসিতে তিনটি বিষয় এবার পাবলিক পরীক্ষা হয়নি। আর আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় দুটি বিষয়ে পাবলিক পরীক্ষা হবে না। এর মধ্যে একটি হচ্ছে শারীরিক শিক্ষা। অপরটি ক্যারিয়ার শিক্ষা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাফর ইকবাল বলেন, আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বারবার পরামর্শ দিয়েছি পাবলিক পরীক্ষা কমানোর জন্য। জাতীয় শিক্ষানীতিতে আছে দুটি বিষয় পাবলিক পরীক্ষা নিতে হবে। এখন অনেক বেশি। আশা করছি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের পরামর্শ গ্রহণ করবে।
পাঠ্যবই হবে প্রাঞ্জল ও সুখপাঠ্য
মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যবই উন্নত, প্রাঞ্জল ও সুখপাঠ্য করার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা। সভায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আবু সাঈদ বলেন, আমেরিকায় পাঠ্যবই অনেক সুন্দর, সুখপাঠ্য, উপন্যাসের মতো। শিক্ষার্থীরা আনন্দ নিয়ে বই পড়ে। আমি চাই আমাদের বইগুলো সে রকম হোক। সভায় অনদের মধ্যে শিক্ষাবিদ ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক ড. কায়কোবাদ, অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।