জেলা কৃষকলীগ আহ্বায়ক আসাদ উল্লাহ সরকারে পদত্যাগ
হঠাৎ করে সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক লীগে ভাঙন দেখা দিয়েছে। খোদ আহ্বায়কের বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন কমিটির অধিকাংশ সদস্য। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা কৃষক লীগ প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপ এবং দলীয় সভার বিরুদ্ধে গিয়ে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক অ্যাড. আসাদ উল্লাহ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করেছে জেলা কৃষক লীগ।’ কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বিন্দু তালুকদার প্রেরিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের এক জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আহ্বায়কের পদ থেকে তাকে অনাস্থা জ্ঞাপন করা হয়। একই সাথে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রের কাছে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। পরে আসাদ উল্লাহ সরকার অফিসে এসে বক্তব্য দিতে চাইলে নেতাকর্মীদের চাপে নিজেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে কার্যালয় ত্যাগ করেন তিনি।’
এদিকে কি কারণে হঠাৎ করে কৃষক লীগে ভাঙন দেখা দিয়েছে তা নেতা-কর্মীরা জানতে পারেননি। তবে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেত্রী অ্যাড. শামীমা শাহরিয়ার বিপক্ষে অবস্থান নেয়ায় জেলা কমিটির আহ্বায়ক আসাদ উল্লাহ সরকারসহ অন্য নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন। পরে কমিটির অন্য সদস্যরা তার বিপক্ষে অবস্থান নেন। এ ব্যাপারে জানতে অ্যাড. আসাদ উল্লাহ সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। অ্যাড. আসাদ উল্লাহ সরকারকে আহ্বায়ক, আব্দুল কাদির শান্তি, শফিকুল ইসলাম শফিক, জুনেদ আহমদ, গৌতম বণিক, বিন্দু তালুকদার, শাহ আলম সেরুল ও ফজলুর রহমানকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় ৪১ সদস্য ওই কমিটিতে। কমিটি গঠনের পর থেকেই নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মসূচি পালন করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই সংগঠনে বিরোধ দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার খোদ আহ্বায়কের বিরুদ্ধেই অনাস্থা জ্ঞাপন করা হয়।
কমিটির আহ্বায়ক আসাদ উল্লাহ সরকার দীর্ঘদিন জাতীয় পার্টির (এরশাদ) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সুনামগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে নির্বাচন করার জন্য সক্রিয় ছিলেন।