শিগগিরই ফিরছেন মিয়ানমারে বন্দি ২৩ বাংলাদেশী
মিয়ানমারের কারাগারে বন্দি ২৩ বাংলাদেশীকে শিগগিরই ফিরিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্মকর্তারা। রোববার বিজিবি-বিজিপি’র ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের ঘুমধুম বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার-৩১/১-এর কাছে রোববার সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বাংলাদেশের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার ৩৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল মনজুরুল হাসান খান। আর বিজিপির পক্ষে ১১ সদস্যের নেতৃত্ব দেন মংডুর ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের অধিনায়ক লে.কর্ণেল ছ্যা জায়ের লিন।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্র জানায়, সভায় আনুষ্ঠানিক আলোচ্যসূচি না থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে দু’পক্ষ একমত পোষণ করেন। তা হলো-আগামী ২২ থেকে ২৮ মার্চ মেইন পিলার-৩১ থেকে ৪০ পর্যন্ত বিজিবি এবং বিজিপি যৌথভাবে সীমান্ত পিলার চেকিং-টহল সম্পন্ন করবে।এছাড়াও বিজিবি-বিজিপি সমন্বিতভাবে সীমান্ত পরিদর্শণ, সীমান্তে যে কোন সমস্যা হলে উভয় পক্ষই অধিনায়ক পর্যায়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা, কোম্পানি-বিওপি কমান্ডার পর্যায়ে তাৎক্ষণিক সৌজন্য সাক্ষাতের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করার বিষয়ে উভয় অধিনায়ক একমত পোষণ করেন। মিয়ানমারে কারাভোগ করা ২৩ বাংলাদেশী নাগরিককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে শিগগিরই হস্তান্তর ও গ্রহণ সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। পরে উভয় পক্ষের সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর বিজিবি-বিজিপি কমান্ডাররা সীমান্ত মেইন পিলার-৩১ এবং নির্মাণাধীন বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক পরিদর্শণ করেন।
বিজিবি অধিনায়ক জানান, সৌজন্য সাক্ষাত অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়। আলোচনা শেষে পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা নিদর্শণ স্বরুপ উপহার সামগ্রী বিনিময় করা হয়। সীমান্ত এলাকায় আগের মতো শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিজিবি ও বিজিপি কর্মকর্তারা। মআগামী দিনগুলোতে উভয় দেশের সীমান্তে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং আন্ত: সীমান্ত সমস্যাগুলো পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে এ প্রত্যয়ে সৌজন্য সাক্ষাত সমাপ্ত হয়।