মুন্নী হত্যাকাণ্ডের মূল আসামী ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার।। আদালতে স্বীকারোক্তি
দিরাই :: দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী হুমায়রা আক্তার মুন্নী হত্যাকাণ্ডের ৫দিন পর হত্যাকারী ইয়াহিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বুধবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকার জালালাবাদ থানার অন্তর্গত মাসুকবাজার নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয় । গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল অভিযান পরিচালনা করে ইয়াহিয়াকে আটক করে সুনামগঞ্জ ডিবি কর্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় তার সহযোগীদের নিয়ে বাসায় গিয়ে মুন্নিকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মুন্নীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আশংকাজনক অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার তাকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সিলেট যাওয়ার পথেই মুন্নির মৃত্যু হয়।
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী
দিরাইয়ে স্কুলছাত্রী হুমায়রা আক্তার মুন্নীকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে আসামী ইয়াহিয়া। গতকাল বুধবার রাতে গ্রেপ্তারের পর আজ সুনামগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে ইয়াহিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। সেখানে মুন্নীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে সে। দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, আদালতে ১৬৪ ধারায় প্রায় আধাঘণ্টার জবানবন্দীতে মুন্নীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তারকৃত ইয়াহিয়া। এদিকে স্কুল ছাত্রী মুন্নী হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি ইয়াহিয়াকে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সহিত দ্রুত গ্রেপ্তার করায় দিরাই থানার ওসি মোস্তফা কামালকে ১ লক্ষ টাকা পুরষ্কার প্রদান করেন সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরকত উল্লা খাঁন। উল্লেখ্য, গত ১৬ ডিসেম্বর শনিবার রাতে দিরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী মুন্নীর পড়ার ঘরে ঢুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করে ইয়াহিয়া। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ইয়াহিয়া এ ঘটনা ঘটায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন। পরে ১৮ ডিসেম্বর সোমবার মুন্নীর মা রাহেলা বেগম বাদী হয়ে ইয়াহিয়া ও তার সহযোগি তানভীরকে আসামি করে দিরাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তানভীরকে গ্রেপ্তার করলেও গতকাল ইয়াহিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়