অস্তিত্ব সংকটে ছাতকের পেপার মিল শহীদ মিনার
পরবর্তীকালে এসপিপিএম উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আরো একটি শহীদ মিনার নির্মিত হলে ক্রমেই অবহেলিত হয়ে কদর হারাতে থাকে এ শহীদ মিনারটি। ২০০২ সালে মিলটি পে-অফ ঘোষনা করা হলে এ শহীদ মিনারটি মানুষের চোখের সম্পুর্ন আড়ালে চলে যায়। অবহেলায় ও অশ্রদ্ধায় পড়ে থাকে বছরের পর বছর। প্রায় দেড় যুগ ধরে অনাদরে পড়ে থাকা এ শহীদ মিনাটি ক্রমেই ভেঙ্গে অস্থিত্ব সংকটে পড়ে। ছোট আকৃতির হওয়ায় বর্তমানে মিনারের স্তম্ভে বসে আড্ডায় মত্ত হয় ভবঘুরেরা। রাতের আধাঁরে নেশাগ্রস্থ মানুষের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয় এ শহীদ মিনার ও আশপাশ এলাকা। মিনারের বেদীতে বসে প্রশ্রাব-পায়খানা করে এর পরিবেশ নোংরা করা হচ্ছে প্রতিনিয়িত। গত দু’বছর আগে পেপারমিল মিনি মার্কেট ব্রিজ ভেঙ্গে নতুন ব্রীজের নির্মাণ কাজ করার সময় এ শহীদ মিনারকে ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছি বাইপাস সড়ক। তখন এ বাইপাস সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ জেলা সদরে আসা-যাওয়া করেছেন প্রায় এক বছর। অবহেলা ও নোংরা অবস্থায় পড়ে থাকা এ শহীদ মিনারটি সকলের নজরে আসলেও রক্ষণাবেক্ষণে কেউ এগিয়ে আসেননি। এটি রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এভাবেই যুগের পর যুগ অবহেলা ও অনাদরে পড়ে থেকে শহীদ মিনারটির হয়তো যবনিকাপাত ঘটবে।