বোরো হাওর রক্ষায় প্রয়োজন রাবার ড্যাম
জানাযায়,রাবার ড্যাম নির্মান প্রুচর টাকা খরচ হলেও হলে প্রতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড হাওরের বাঁধ নির্মানের নামে পুকুর চুরি বন্ধ হবে। সরকার সেই সাথে বাঁধ রক্ষায় প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা খরচের হাত থেকে রক্ষা পাবে। সুনামগঞ্জের একটি প্রবাধ আছে তা হল মৎস,পাথর ও ধান এই নিয়েই হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জবাসীর প্রান। কারন জেলায় বছরের ছয় মাস বোরো ফসল চাষাবাদ,বিভিন্ন হাওরে মাছ আর ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা দিয়ে বয়ে বয়ে আসা একাধিক নদীতে বালু উৎপাদন দিয়েই সুনামগঞ্জবাসী তাদের সম্মান ধরে রেখেছে বংশ পরম পরায়। রাবার ড্যাম নির্মান হলে জেলার বড় বড় হাওর গুলোতে কোটি কোটি টাকা কৃষকের ফলানো কষ্টের উৎপাদিত বোরো ফসল প্রতি বছর আগাম বন্যায় পানিতে তলিয়ে যাবার আশংকা থাকবে না। একেই সঙ্গে ঐ সব রাবার ড্যাম এলাকায় পানি আঠকিয়ে রেখে চাষাবাদের কাজে লাগোনো যাবে।
সুনামগঞ্জ এলজিইডি কার্য্যালয় সূত্রে জানাযায়,জেলার বোরো হাওর রক্ষায় ঝুকিঁ পূর্ন নদী,খাল ও ক্লোজার এলাকায় গত বছর ১৫টি রাবার ড্যাম নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে এলজিইডি। সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে সুনামগঞ্জ এলজিইডি। যে সব উপজেলায় ১৫টি রাবার ড্যাম নির্মানের প্রয়োজন সেগুলো হল,জেলার নলুয়ার হাওর রক্ষায় তিনটি রাবার ড্যাম হবে। এগুলো হচ্ছে বড় ডহরের পাশে কাটা গা্ংেগ,কলইখড়ার নিকট এবং বেতাইকার পাশে।
দেখার হাওর রক্ষায় উতারিয়ায়,ধর্মপাশা উপজেলার মহেশখলা,রুপনগড়,তাহিরপুর উপজেলার বাগলীছড়া,লাকমা ছড়া,ভোগলাখালি,গাগলাখালি,টঙ্গি ও উবদাখালি,জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী নদীতে,দিরাই উপজেলায় বৈশাখী খালৈ ও বোয়ালিয়ায় রাবার ড্যাম নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া নিয়েছে এলজিইডি কতৃপক্ষ। আরো জানাযায়,জেলার করচার হাওরের গজারিয়া ও গাগটিয়ার ক্লোজারের বাঁধ নির্মান করার জন্য প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। পাহাড়ী ঢলে এই বাঁধ প্রায় সময়েই ভেঙ্গে না হয় বাঁধ উপচিয়ে পানি হাওরে প্রবেশ করেছে। গত ২০১৫সালে এলজিইডির উদ্যোগে গজারিয়ায় ২২কোটি টাকা ও ঘাগটিয়া ৪কোটি ৮০লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি রাবার ড্যাম নির্মান হয়েছে।
এর ফলে এই অন্যান্য হাওরের বাঁধ ভেঙ্গে পাহাড়ী ঢলের পানি হাওরে প্রবেশ করলেও এই খান দিয়ে প্রবেশ করতে পারে নি। এছাড়াও জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বিএডসি কতৃত নির্মিত মিছাখালী নদীতে ৩৫কোটি টাকার রাবার ড্যামটি প্রায় ৫০কোটি টাকা বোরো ফসলের উপকার হয়েছে। শিক্ষক হাদিউজ্জামান,হাফেজ এমদাদ সহ জেলার সচেতেন নাগরিক গন জানান,এই রাবার ড্যাম নির্মিত হলে প্রতি বছর হাওর রক্ষার নামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বালির বাঁধ তৈরী করে জেলার হাওর পাড়ের অসহায় কৃষকদের একমাত্র সম্পদ বোরো ফসল নিয়ে চিনিমি খেলা বন্ধ হবে এবং সরকার প্রতি বছর হাওর রক্ষায় যে পরিমান টাকা খরচ হয় তা লাভবান হবে। তাহিরপুর উপজেলার কৃষক খেলু মিয়া,আশরাফুর,সুলতান মাহমুদ সহ বিভিন্ন হাওর পাড়ের কৃষকরা জানান,প্রতি বছর ফসল রক্ষার হাওরের বাঁধ নির্মানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পুকুর চুরির কারনে আমাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতির শিকার হতে হয়। আমরা পথে বসে গেছি গত ২বছর সঠিক ভাবে বাঁধ না হওয়ায় সব ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।
রাবার ড্যাম নির্মান হলে বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে চলা চল করতে পারব,মাছ উৎপাদনে সফলতা অর্জন হবে ও রাবার ড্যামে পানি আঠকিয়ে রেখে চাষাবাদের কাজে লাগিয়ে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক সফলতা অর্জন করা সম্ভব হবে। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান,রাবার ড্যাম তৈরী করতে হলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। সরকারের অর্থ করছ হলেও সেই খরচের বেশি ফসল উৎপাদন করে লাভবান হতে পারলে রাবার ড্যাম স্থাপন করলে সরকার ও জেলার হাওরবাসী উপকৃত হবে। সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান জানান,রাবার ড্যামের মূল লক্ষ্য জেলার হাওর গুলোর কে অকাল বন্যা থেকে রক্ষা করা ও ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর স্বার্থে। যেখানে রাবার ড্যাম বসানো হলে হাওর বেষ্টিত জেলার বৃহত্তর হাওর গুলোর ফসল হানী থেকে রক্ষা পাবে সেই নিদির্ষ্ট কিছু স্থান চিহ্নিত করে সেখানে রাবার ড্যাম স্থাপনের জন্য আমরা তালিকা তৈরী করে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গত বছর পাঠানো হয়েছে।