সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে নারী শ্রমিকদের কাজের পরিবেশে পরিবর্তন আসছে বলে জানাচ্ছে বাংলাদেশের অভিবাসী বিষয়ক সংস্থা রামরু। এর মধ্যে, নারী গৃহকর্মীদের ওপর যৌন ও শারীরিক নির্যাতন রোধে সৌদি আরবে নতুন এক প্রকল্প নেয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে অভিবাসী নারী শ্রমিকদের বাসায় না রেখে বিভিন্ন হোস্টেলে রাখা হবে। সেখান থেকে তারা কাজে যাতায়াত করবেন।
এর ফলে সেখানে যাওয়া বাংলাদেশি নারী শ্রমিকদের উপর নির্যাতনের সম্ভাবনা কমে আসবে বলে আশা করছে বাংলাদেশে অভিবাসী নিয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি সংস্থা রামরু। বাংলাদেশের সরকারি হিসেবে এই বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৯ লাখ ৬০ হাজার শ্রমিক বিভিন্ন দেশে গেছে। তবে বেসরকারি সংস্থাগুলো বলছে এই সংখ্যা ১০ লক্ষের বেশি। এর অর্ধেকের বেশি শ্রমিক গিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে। এদের বড় একটি অংশ নারী শ্রমিক, যারা মূলত গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কাজ করতে যান।
রামরু’র প্রধান তাসনিম সিদ্দিকী বলছেন, ‘এ বছরে সৌদি আরব ও সেখানকার দেশগুলোয় নারী শ্রমিকদের পরিবেশেও বড় পরিবর্তন হচ্ছে।’ তিনি বলছেন, ‘নারী শ্রমিকদের উপর গৃহের অভ্যন্তরে নির্যাতন যে পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে তা নয়। তবে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে একটি বড় অগ্রগতি হয়েছে যে, সেখানে কর্মরত নারীদের বাড়িতে না রেখে বিভিন্ন ধরণের হোস্টেল তৈরি করে সেখানে নারী শ্রমিকদের রাখা, সেখান থেকে তাদের কাজে আনা নেয়া করার একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। সেটা যদি সফল হয়, নারী যদি গৃহে বন্দী না থাকেন, তাহলে তাদের ওপর যৌন নির্যাতন বা শারীরিক নির্যাতনের সুযোগ কমে যাবে।’ বিবিসি।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn