দলীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সিলেটে এক ছাত্রদল নেতা খুন হয়েছেন। নিহত আবুল হাসনাত শিমু। সিলেট মহানগরের একটি ওয়ার্ডের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মহানগর ছাত্রদল নেতা। সোমবার বিকালে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হওয়ার পর ওসমানী হাসপাতালে নেয়া হয় শিমুকে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানা যায়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে সোমবার বিকাল ৪টায় শোভাযাত্রা বের করে ছাত্রদল। এসময় শোভাযাত্রার সামনে দাঁড়ানো নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়। এসময় ছাত্রদল নেতা শিমুর বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে অন্যান্য ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাকে দ্রুত ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওসমানী হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা পুলিশের এসআই নজরুল ইসলাম শিমু খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা হবে দাফনের পর

দলীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছাত্রদল নেতা আবুল হাসনাত শিমু খুনের ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি। সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নিহতের পারিবারিক সূত্র। সিলেট মহানগর শাখার সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত শিমুর মরদেহ এখন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলের হিমাগারে রয়েছে। আজ মঙ্গলবার পোস্টমর্টেম হওয়ার কথা রয়েছে। তার পিতা দেশের বাইরে রয়েছেন। তিনি দেশে ফিরার চেষ্টা করছেন। তাই এখনো জানাযার নামাজ ও দাফনের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আর দাফনের পর মামলা দায়ের করা হবে বলে প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিহত শিমুর স্ত্রী ও স্বজনরা। সোমবার বিকালে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হওয়ার পর ওসমানী হাসপাতালে নেয়া হয় শিমুকে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি শহরতলির টুলটিকর ইউনিয়নের আরামবাগ এলাকার ২২ নম্বর বাসার বাসিন্দা। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। জান্নাত নামে তাঁর ৫ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। সে এখনো বাবার মৃত্যুর খবর জানেনা। এদিকে স্বামীকে হারিয়ে পাগলপ্রায় শিমুর সহধর্মিনী এবং মা। তার স্বজন ও রাজনৈতিক সহকর্মীরাও এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn