এই লোক আইনমন্ত্রী হলে দেশের বারোটা বাজবে
বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন করতে দেয়া হবে না- বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এই লোক আইনমন্ত্রী হলে দেশের বারোটা বেজে যাবে। শুক্রবার বনানী পূজা মাঠে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ পালন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। আওয়ামী লীগ ও দেশের মানুষের জন্য আজ গণতন্ত্রের বিজয় দিবস। আর বিএনপির ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির জন্য দিবসটি রাজনৈতিক আত্মহত্যার দিবস। তিনি বলেন, বিএনপি আজ কী দিবস পালন করছে? যদি বিএনপি আগামী নির্বাচনে না আসে, তবে তারা আরো একবার রাজনৈতিকভাবে আত্মহত্যা করবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনি বহুরূপী ব্যারিস্টার। আপনাকে এবং আপনার দলকে সবাই চেনে। দেশে একটু ঝড়-ঝঞ্ঝা দেখলে বিদেশে গিয়ে পালিয়ে থাকেন। ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে বাড়ি দখল করতে গিয়ে আদালতে ধরা খেয়ে রাস্তায় কান্না করেছেন। এই লোক যদি দেশের আইনমন্ত্রী হন, দেশের বারোটা বেজে যাবে। এ সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় নৌকা বিজয়ী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী বলছেন, পদ্মা সেতু ভাঙাচোরা। এতো কথা বলেন তিনি। যান গিয়ে দেখে আসুন, সেখানে স্প্যান বসেছে।’খালেদা জিয়ার মামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মামলা করেছে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার। বেগম জিয়ার পছন্দের সরকার। আওয়ামী লীগ না। আপনার মামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই।’ সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যদি ক্ষমতা থাকে নির্বাচন ঠেকাতে আসুন। আগুন সন্ত্রাস, পেট্রলবোমা দিয়ে যদি কোনো নাশকতা করে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করেন, জনগণকে নিয়ে কঠোরভাবে দমন করা হবে। কোথাও পালাতে পারবেন না।’ তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনে আপনারা না এলে সে দায় কারো নয়। মনে রাখবেন, সময় ও স্রোত কারো অপেক্ষা করে না।’ টাইম অ্যান্ড টাইড ওয়েট ফর নান। নির্বাচন বিএনপি বা কারো জন্য বসে থাকবে না। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন, ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হাবিবুর রহমান সিরাজ, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।