বাংলাদেশে মার্কিন সহায়তা কমলো ৮ কোটি ডলার
২০১৮ সালে বাংলাদেশে ১৩ কোটি ৮৪ লাখ ডলার অর্থ সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর এ সহায়তার পরিমাণ ছিল ২২ কোটি ডলার। সে অনুযায়ী এ বছরে বাংলাদেশে মার্কিন সহায়তা কমেছে ৮ কোটি ১৬ লাখ ডলার। এছাড়া, ২০১৮ সালে বিভিন্ন দেশে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের মোট অর্থ সহায়তা কমেছে ১ হাজার ৮৫২ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন অ্যাসিসটেন্স বিভাগের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এক দশকের মধ্যে এ বছরই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সবচেয়ে কম অর্থ সহায়তা দেবে।এর আগে ২০০৭ সালে বাংলাদেশে ৮ কোটি ৪২ লাখ ডলার সহায়তা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরবর্তী বছরগুলোতে এই সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এবার তাতে ছন্দপতন ঘটেছে। আর্থিক সহায়তা কমে গেছে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৭ সালে বাংলাদেশে মার্কিন সহায়তার পরিমাণ ছিল ৮ কোটি ৪২ লাখ ডলার। পরবর্তী বছর ২০০৮ সালে সহায়তা দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পায়। এ বছর ৯ কোটি ২৮ লাখ ডলার বৃদ্ধি পেয়ে মোট মার্কিন সহায়তার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারে। ২০০৯ সালে এই সহায়তা কিছুটা কমে যায়। সে বছর বাংলাদেশকে ১৬ কোটি ৬৭ লাখ ডলার আর্থিক অনুদান দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ২০১০ সালে এই পরিমাণ অনেকটা অপরিবর্তিত থাকে। এ বছর ১৬ কোটি ৭৯ লাখ ডলার মার্কিন সহায়তা পায় বাংলাদেশ। ২০১১ সালে বাংলাদেশকে দেয়া মার্কিন অর্থের পরিমাণ ছিল ১৯ কোটি ৭ লাখ ডলার। এছাড়া, বাংলাদেশে ২০১২ সালে ২০ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, ২০১৩ সালে ২০ কোটি ২৪ লাখ ডলার, ২০১৪ সালে ২০ কোটি ৫৬ লাখ ডলার, ২০১৫ সালে ১৯ কোটি ডলার, ২০১৬ সালে ২১ কোটি ডলার ও ২০১৭ সালে ২২ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই মার্কিন সহায়তা কমানোর চিন্তা করছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ইতিমধ্যেই তিনি পাকিস্তানে নিরাপত্তার জন্য দেয়া আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি ফিলিস্তিনেও আর্থিক সহায়তা কমানোর হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। ফরেন অ্যাসিসটেন্স পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরে বিভিন্ন দেশে দেয়া মার্কিন সহায়তার পরিমাণ ছিল সাড়ে ৪ হাজার কোটি ডলার। এ বছরে তা আড়াই হাজার কোটি ডলারে নেমে এসেছে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতা দেশ। বিশ্বের ১৫০টি দেশে বিভিন্ন খাতে অর্থ সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।