নদী ভাঙ্গন পরিদর্শনেএমপি মানিক
ছাতক:: ছাতকে বিভিন্ন এলাকার নদী ভাঙ্গন পরিদর্শন করেছেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। শুক্রবার সকালে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও এবং গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের চানপুর এলাকার নদী ভাঙ্গন পরিদর্শন ও ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন তিনি। এসময় নদী ভাঙ্গন রোধে যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সুপারিশ করেন। সুরমা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন, জনবসতি ও ফসলী জমি, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার বিষয়টি পানিসম্পদমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে এর সুষ্ঠু প্রতিকারে তার সহায়তা কামনা করবেন বলেন জানান এমপি মুহিবুর রহমান মানিক। নদীভাঙ্গনে মুক্তিরগাঁও এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন জানান, সুরমা নদীর ভাঙ্গনে মুক্তিরগাঁওসহ এলাকার ৮টি গ্রামের মানুষ বসতভিটে ও বহু ফসলী জমি হারিয়ে এখন নিঃস্ব অবস্থায় রয়েছে। অব্যাহত নদী ভাঙ্গনের কারণে রাস্তা-ঘাট বার-বার সুরমার পেটে চলে যাওয়ায় এলাকার মানুষ বর্ষায় অনেকটা বন্দি অবস্থায় কাটাতে হয়। এদিকে শহরের বৌলা ও মুক্তিরগাঁও গ্রামের মধ্যবর্তি হাওরের কয়েক শ’ একর জমি ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে চলে গেছে। বর্তমানে ভাঙ্গন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ গোটা শহর হুমকীর মুখে পড়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়া হলে মুক্তিরগাঁওসহ ছাতক শহরের মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট ব্যুরোর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিকী ভূঁইয়া, ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাছির উল্লাহ খান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাদাত লাহিন, দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক তাপস দাশ পুরকায়স্থ, আওয়ামীলীগ নেতা আফজাল হুসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা খালেদ হাসান, চরমহল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল হক, আওয়ামীলীগ নেতা অজয় দত্ত, মন্তাজ আলী, ছাতক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুর আলম, কালারুকা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি, ইউপি সদস্য ফজলু মিয়া, গোবিন্দগঞ্জ অনার্স কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তাজামুল হক রিপন ছাত্রলীগ নেতা মাহবুব আলম প্রমুখ।