পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় বাঁধ উঁচু করার পাশাপাশি খাল খননের কাজ চলছে। সর্বোপরি পানি কোথায় যাবে সেটির উৎস বের করা হয়েছে। এজন্য মেঘনা-ভৈরব পর্যন্ত ড্রেজিং করতে হবে।  রবিবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা জানান। নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে সংসদে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পানিসম্পদ মন্ত্রী।  সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের এক প্রশ্নের জবাবে পানিসম্পদ মন্ত্রী সংসদকে জানান, ২০০৯ সাল থেকে দেশের মরে যাওয়া প্রায় ১২শ’ কিলোমিটার নৌ-পথ খননের মাধ্যমে বৃদ্ধি করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নৌ-পথ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সারাদেশে ৫৩টি নৌ-পথ ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের আওতায় এবং ১২টি নৌ-পথ খনন প্রকল্পের ড্রেজিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে নৌ-পথ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ পরিকল্পনার আওতায় আরো ১৭৮টি নদী খনন করা হবে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রহিম উল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে জানান, অভ্যন্তরীণ নৌপথের দৈর্ঘ্য বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে ৬ হাজার কিলোমিটার ও শুষ্ক মৌসুমে ৪ হাজার কিলোমিটার। 
 আনোয়ারুল আজীম আনারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে আরিচা ও দৌলতদিয়া নৌপথে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। উক্ত ঘাটে দৈনিক গড়ে ৪ হাজার ৪শ’টি গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। মাঝে মাঝে নাব্যতা সঙ্কট, ঘাট বিপর্যয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ (কুয়াশা), আটরশি ও চন্দ্রপাড়ার ওরশ এ ধরনের বিশেষ কারণে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে পারাপারে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়ে থাকে। কেবলমাত্র কুয়াশাজনিত সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করলে ফেরি পারাপারে প্রলম্বিত হয়। তবে এ কুয়াশা কেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেরী পারাপার স্বাভাবিক হয়ে থাকে।  সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জানান, ভয়াবহ নৌ দুর্ঘটনা কবলিত নৌযান উদ্ধারে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন উদ্ধারকারী নৌযান ও টাগ জাহাজ সংগ্রহের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। সে অনুযায়ী ভয়াবহ নৌ-দুর্ঘটনা কবলিত নৌযান উদ্ধারে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন উদ্ধারকারী নৌযান, টাগ জাহাজ ও অন্যান্য আনুসঙ্গিক যন্ত্রাদি সংগ্রহের লক্ষ্যে প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়নের জন্য প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা সমীক্ষার প্রস্তাব বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (ডিপিইসি) সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক অনুমোদনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।  সরকার দলীয় আরেক সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষের প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জানান, সরকার দেশের ৪৯১টি অভ্যন্তরীণ নৌপথের নাব্যতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। উক্ত পরিকল্পনায় আওতায় সরকার ১৭৮টি নদী খনন করবে।
 
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn