বিজ্ঞাপন দিয়ে বিদেশে লোক পাঠানোর নামে প্রতারণা
পত্রিকায় লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে বিদেশে লোক পাঠানোর নামে প্রতারণার অভিযোগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিআইডি পুলিশ গত বুধবার তাদের গ্রেফতার করে। এদের একজন সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইলের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান। তার বাড়ি রাজবাড়ির গোয়ালন্দে। অপরজন তানভীর আহম্মেদ। সেনাবাহিনীতে রিভার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে তার চাকরি হয়েছিল ২০০০ সালে। কিন্তু ভলিবল খেলতে গিয়ে পায়ে চোঁট পেয়ে চাকরি হারায়। তার বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জে। গতকাল শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম।
সিআইডি জানায়, গ্রেফতারকৃতরা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে হংকংয়ে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে আসছিল। অথচ তাদের নিজস্ব কোনো অফিস নেই। তারা অফিস না থাকার বিষয়টি আড়াল করে ক্লায়েন্টদের সঙ্গে দেখা করতো যমুনা ফিউচার পার্কের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে। সেখানেই হংকং পাঠানোর জন্য মৌখিক চুক্তি করতো। এরপর চুক্তি অনুযায়ী টাকা নিয়ে শেষ পর্যন্ত বিদেশ না পাঠিয়ে লাপাত্তা হয়ে যেত। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জানান, গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ভিসা প্রসেসিং’ শিরোনামে একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। যেখানে হংকংয়ের কিছু ভিসা প্রসেস করা হবে বলে জানানো হয়। যোগাযোগের ঠিকানা দেওয়া হয় উত্তরা, হাউজ বিল্ডিং, ঢাকা। সঙ্গে দেওয়া ছিল একটি ফোন নম্বর। ওই নম্বর দেখে যোগাযোগ করেন নারায়ণগঞ্জের জিয়াউল হক সুমন ও হায়াত আহম্মদ। তাদের সঙ্গে প্রতারকরা দেখা করে যমুনা ফিউচার পার্কের একটি রেস্টুরেন্টে। হংকং পৌঁছার পর প্রত্যেককে সাড়ে তিন লাখ টাকা করে দিতে হবে বলে মৌখিক চুক্তি হয়। ফ্লাইটের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৪ সেপ্টেম্বর। নির্ধারিত তারিখে যাত্রার আগে মোটা অঙ্কের টাকা ডলারে একচেঞ্জ করা হয়। ফ্লাইটের দিন দুই ভুক্তভোগী যে টাকা হংকং গিয়ে দেওয়ার কথা ছিল, তা থেকে ৮ হাজার ডলার প্রতারকদের দিয়ে দেন। এরপর প্রতারকরা ওই দুজনকে বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত বছরের ১৪ নভেম্বর বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা হয়েছে।