এবারের বিসিএলে ধীমান ঘোষের প্রথম সেঞ্চুরি
নাঈম ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্ত দ্বিতীয় দিনেই তুলে নেন সেঞ্চুরি। মঙ্গলবার তৃতীয় দিনে বিসিবি নর্থ জোনের হয়ে সেঞ্চুরি করলেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ধীমান ঘোষও। এই তিনজনের সেঞ্চুরি সিলেটে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচের প্রথম ইনিংসে নর্থ জোনকে তুলে দিয়েছে রানের পাহাড়ে। অলআউট হয়েছে ৫৩৭ রান করে। যার অর্থ, প্রথম ইনিংসে জহুরুল ইসলামের দল পেয়ে গেছে ৩৫৬ রানের বিশাল লিড। উল্লেখ্য, ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছিল মাত্র ১৮১ রানে।
১৪টি ওয়ানডে খেলে করেছেন মোটে ১২৬ রান। সর্বোচ্চ ৩০। একমাত্র টি-টুয়েন্টিতে করেন মাত্র ১ রান! এই তথ্য স্পষ্টই বলে দেয় ধীমান ঘোষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরতে চরম ব্যর্থ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সেই ব্যর্থতা যেন ঘরোয়া ক্রিকেটেও ভর করেছিল জাতীয় দলের সাবেক এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের ব্যাটে। তবে বিসিএলে নিয়মিত রান করছিলেন। ২টি ফিফটি করেছিলেন। কিন্তু ইনিংসকে তিন অংকে নিতে পারছিলেন না। অবশেষে সেই সমস্যা মিটল। পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে এসে করলেন এবারের লিগে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। ১৪ চারে ১৩২ বলে করেছেন ১১৩ রান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যেটা তার একাদশতম সেঞ্চুরি।
আগের দিন ৬৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন ধীমান। সঙ্গী সেঞ্চুরিয়ান নাঈম ইসলাম অপরাজিত ছিলেন ১৩৩ রান করে। ধীমানের সেঞ্চুরির চেয়েও তাই বড় কৌতুহল ছিল নাঈম প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ক্যারিয়ার সেরা ১৮৫ রানের ইনিংসকে টপকে যেতে পারেন কিনা। নাঈম সেই কৌতুহল মেটাতে পারেননি। আগের দিনের ১৩৩ রানের সঙ্গে আর ৯ রান যোগ করে আউট হয়ে যান ১৪২ রান করে। তার আগে ধীমানের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে গড়েন ১২৬ রানের জুটি। মোশাররফ হোসেনের শিকার হয়ে নাঈমের ফেরার পর ফরহাদ রেজাও ফিরে যান দ্রুত। তবে আলাউদ্দিন বাবুকে নিয়ে ধীমান নবম উইকেটে গড়েন ৬০ রানের জুটি। আলাউদ্দিন বাবুও করেছেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি। ৪ ছক্কা এক চারে ৬৭ বলে ৫৪ রান করে আলাউদ্দিন মোহাম্মদ শরীফের বলে আউট হয়েছেন দলের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে।
৩৫৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে সেন্ট্রাল জোনের শুরুটা ভালোই হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় তাদের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ১২৩ রান। অবশ্য ইনিংস হার এড়াতেই তাদের আরও ২৩৪ রান করতে হবে। ৭০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ার পর আউট হয়েছেন আব্দুল মজিদ (৪৩)। সাইফ হাসান ৬৬ ও মেহরাব জুনিয়র ব্যাট করছিলেন ১৪ রানে।