ফেসবুক জানাবে কার তথ্য কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক প্রথমবারের মত নিজেদের প্রাইভেসি প্রিন্সিপাল প্রকাশ করতে যাচ্ছে। তাদের এই উদ্যোগ ব্যবহারকারীদের ভিডিও আকারে দেখানো হবে। যাতে ব্যবহারকারীরা তাদের তথ্য নিয়ন্ত্রণ করতে আরো বেশি সচেতন হয়। ফেসবুকের চিফ প্রাইভেসি অফিসার এরিন ইগান সোমবার এক ব্লগপোস্টে একথা জানান। লোকজনের ডাটা ফেসবুক কীভাবে ম্যানেজ করত তা কখনো জানানো হতো না। ফেসবুকে শেয়ার করা ব্যবহারকারীর জিনিস কে কীভাবে ব্যবহার করছে তা অজ্ঞাতই থাকতো সবার কাছে। ব্যবহারকারীর কাছে এ সম্পর্কিত কোনো তথ্য থাকতো না। ব্যবহারকারীর কোনো তথ্য মুছে দিলে তার ফলাফল কেমন হতো সেটাও জানতো না। ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট ডিলিট হলে কী কী হারানো হয়। কিংবা কীভাবে পুরনো পোস্ট মোছা যায়- সবকিছু এখন থেকে প্রকাশ করবে ফেসবুক। তথ্য সংক্রান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন আইন কঠোর করায় ফেসবুক এসব করতে বাধ্য হচ্ছে। এমনটাই জানাচ্ছে বিশ্লেষকরা। আগামী ২৫ মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জেনারেল ডাটা প্রটেকশন রেগুলেশন সংক্ষেপে জিডিপিআর তাদের আইন বলবত করতে যাচ্ছে। আর এই আইন ইন্টারনেট জন্মলগ্ন থেকেই ছিল। এবার আইনে ব্যক্তির তথ্য সুরক্ষা করা হয়েছে। ২৫ মে পর তথ্য নিয়ে যদি কোনো কোম্পানিকে অভিযুক্ত করা হয় তবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওই কোম্পানি ব্যবহারকারীকে তথ্য দিতে হবে এবং তাকে সেটা মুছে দেবার অধিকার দেবে। সারাবিশ্বে ২ বিলিয়নের ওপর ফেসবুক ব্যবহারকারী আছে। তাদের এই তথ্য ফেসবুক কীভাবে ব্যবহার করছে তা কখনই প্রকাশ করে না কোম্পানিটি। এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের তথ্য সুরক্ষা আইনের গ্যাঁড়াকলে পড়ে সেটা প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছে ফেসবুক।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকের প্রাইভেসি প্রিন্সিপাল তার ব্যবহারকারীর টার্মস ও কন্ডিশন থেকে আলাদা হয়। এক ব্যক্তি যখন ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খোলে তখন তাদের দিয়ে টার্ম ও কন্ডিশন জানিয়ে দেয়া হয়। এখন থেকে ব্যবহারকারীকে তার তথ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার দিয়ে দেয়া হবে। ফেসবুক এখানে নাক গলাতে আসবে না। এরিন বলেন, একজন ব্যক্তি চান না তার সবকিছু সবার কাছে শেয়ার হোক। ব্যক্তি নির্বাচন করবে কার কাছে কি যাবে। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র : রয়টার্স