বিএনপি বলছে আওয়ামী লীগ বারবার চেষ্টা করছে বিএনপিকে ধ্বংস করতে কিন্তু ধ্বংস করতে পারেনি। বরং খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি টিকে আছে, থাকবে। সামনে আরও শক্তিশালী হবে।  অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপি যেভাবে নেতিবাচক ও অগণতান্ত্রিক রাজনীতি আঁকড়ে ধরেছে তাতে ওই দলটির ভাঙার জন্য আওয়ামী লীগের প্রয়োজন নেই, তারা নিজেরাই যথেষ্ট। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আছে। সেই উদ্দেশ্যে হচ্ছে বিএনপি নির্বাচনে গেলে তারা টিকতে পারবে না। তাই বিএনপিকে উৎখাত করতে হবে। খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে হবে। যার ধারাবাহিকতায় এ মিথ্যা মামলা। তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় এসে দমন নিপীড়নের মাধ্যমে বিরোধী মতকে স্তব্ধ করতে আইন-কানুন মানছে না। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জনগণের আরও কাছে যেতে হবে। তাদেরকে সম্মিলিত করে ঐক্যের তরঙ্গের ন্যায় সুনামি সৃষ্টি করতে হবে। কারণ, সুনামির কাছে অস্ত্র পরাজিত হতে বাধ্য।

নয়াপল্টনস্থ ভাসানী ভবনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, এক-এগারো সরকার খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রেখেছিল। আটকিয়ে রাখতে পারেনি। আওয়ামী লীগও বারবার চেষ্টা করছে বিএনপিকে ধ্বংস করতে কিন্তু ধ্বংস করতে পারেনি। বরং খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি টিকে আছে, থাকবে। সামনে আরও শক্তিশালী হবে। শত চেষ্টা করেও তাকে (খালেদা জিয়া) পরাজিত করা যাবে না। অন্যদিকে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি দলটির সদস্য হতে পারে না। আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হলে দলের ভাঙন দেখা দিতে পারে। আর এ আশঙ্কা থেকেই তারা তাদের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি রাতের অন্ধকারে কলমের এক খোচায় তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা নির্বাসনে পাঠিয়েছে। কি অদ্ভূত রাজনৈতিক দল দল বিএনপি, আর কি অদ্ভূত তাদের গঠনতন্ত্র।  বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যাদের ঘরেই গণতন্ত্র নেই, তারা দেশে কিভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। এক বছর দশ মাসেও তাদের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির কোন সভা অনুষ্ঠিত হয়নি।  ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায় আদালতের বিষয়। তারপরও তারা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার হুমকি দিচ্ছে। তারা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে আদালতের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাচ্ছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ 

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn