মালেয়শিয়ার বুক অফ রেকর্ডসে প্রথম বাংলাদেশি তরুণ বিজ্ঞানী এম এ হামিদ
প্রাণঘাতি জিকা ভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্ব যখন উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় ভুগছে। ঠিক তখন এই ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকার পন্থা উদ্ভাবন করেছেন চট্টগ্রামের মোহাম্মদ আবদুল হামিদ। জিকা ভাইরাস, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ যে কোনো প্রাণঘাতি জিবানুবাহী মশাকে সহজেই নিধন করার যন্ত্র আবিষ্কার করে সম্প্রতি দেশে-বিদেশে আলোচিত হয়েছেন । গত নভেম্বরে তিনি মালেয়শিয়ার কুয়ালামপুরে একটি সেমিনারের মাধ্যমে তার উদ্ভাবিত যন্ত্র ‘এইচইসি মসকিউটো কিলার’মালয়েশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে বাজারজাত করার ঘোষণা দেন। সম্প্রতি, তিনি মালয়েশিয়ার গিনেস খ্যাত ‘মালেয়শিয়া বুক অফ রেকর্ডস’ এ আবেদন করেন তার উদ্ভাবিত যন্ত্র ‘এইচইসি মসকিউটো কিলার’প্রদর্শনের। তার জবাবে ‘মালেয়শিয়া বুক অফ রেকর্ডস’ ‘বিগেস্ট ইকো-ফ্রেন্ডলি মসকিটো ট্রাপ’ শিরোনামে তার উদ্ভাবিত যন্ত্রটি প্রদর্শনের অনুমতি পায়। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে ‘মালেয়শিয়া বুক অফ রেকর্ডস’ এ প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইতিহাস করবে বাংলাদেশি তরুণ বিজ্ঞানী এম এ হামিদ। এই যন্ত্রটি মালেয়শিয়ায় প্রদর্শনের সহযোগিতা করে মালয়েশিয়ান বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বি কে সুরিয়া, টুফ্যাম ফ্যাশন এবং টুফ্যাম ব্রাদার্স এসডিএন বিএইচডি।
সাধারণত জিকা ভাইরাস, ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো ভয়ানক ভাইরাস মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে মশার মাধ্যমে। এই মশা নিধনে এতোদিন বাংলাদেশসহ পৃথিবীর দেশে দেশে তরল ওষুধ, কয়েল, বৈদ্যুতিক জালসহ নানা উপকরণ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যা কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান আশ্রিত এবং জনস্বাস্থ্য ক্ষতিকর। তবে বিজ্ঞানী ও গবেষক হামিদ তার উদ্ভাবিত যন্ত্রকে জনস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ বলে দাবি করছেন। হামিদের উদ্ভাবিত নতুন মশকনিধন যন্ত্রটি গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃতি পায়। চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সরকারের সর্বশেষ গেজেটে এটি প্রকাশ করা হয়। নিজের নামের সঙ্গে মিল রেখে নতুন এই যন্ত্রের নাম দেয়া হয়েছে ‘এইচইসি মসকিটো কিলার’(হামিদ ইলেকট্রো-কেমিক্যাল মসকিটো কিলার)।