জনসভায় সব ছিল, ছিলেন না সুরঞ্জিত!
সিলেটে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের সকল নেতা ছিলেন মঞ্চে, ছিলেন না কেবল সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। স্মরণের আবরণে ঢাকা ছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেছেন তাঁকে, স্মরণ করেছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন সহ আরও কয়েকজন বক্তা। সবশেষ ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন। ওই দিন সিলেটের উন্নয়ন সম্পর্কিত একাধিক দাবি জানিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেছিলেন, আমাদের দাবি পূরণের ঘোষণা দিয়ে যাইয়েন, আল্লার দোহাই। প্রধানমন্ত্রী সুরঞ্জিতের দাবিগুলোর প্রতি সম্মান জানিয়েছিলেন, আশ্বাস দিয়েছিলেন দাবি পূরণের; এবং অনেকগুলো বাস্তবায়নাধীনও। মঞ্চে ওঠে স্বভাবসুলভ হাস্যরসাত্মক ঢঙয়ে বক্তৃতার জন্যে খ্যাতি পাওয়া সুরঞ্জিতের অভাব বোধ করেছেন অনেকেই। জনসভায় উপস্থিত অনেকের মাঝে ছিল সে হাহাকার। সাবেক ছাত্রনেতা এম রশীদ আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের জনসভায় আগত নেতাকর্মীদের মাঝে বার বার একটি নামই উচ্চারিত হয়েছে। সকাল থেকে আগত কর্মীরা যখন স্লোগানে ক্লান্ত হয়ে যেত তখন সকলের জন্য উজ্জিবনী শক্তি হয়ে মাইকে দাঁড়াতেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত পার্লামেন্টারিয়ান, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতাদের একজন, ভাটির শার্দূল খ্যাত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তার চিরচেনা ভঙ্গিতে বক্তৃতা শুরু করলেই ক্লান্তি ঝেড়ে নতুন উদ্যমে উজ্জীবিত হতো কর্মীরা।
তিনি বলেন, আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার আলিয়া মাঠের জনসভায় সকলের প্রিয় সেন দা’র শূন্যতা ছিল নেতা কর্মীদের মুখে মুখে। ছিল অফুরান আফসোস। প্রিয় নেতা বেঁচে নেই। আছেন মানুষের অন্তরে অন্তরে। ২০১৬ সালের জনসভায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সিলেটের উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘সিলেটের হলো ছয় জেলা। এইখানে চারটা। আর একটা লন্ডন, আরেকটা নিউইয়র্ক। ফলে এই এলাকার উন্নয়ন করতে হবে।’ উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা ও সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।