জগন্নাথপুরে দেখা নেই বিএনপির, রাজপথে আওয়ামী লীগ
খালেদা জিয়ার রায়ের পর জগন্নাথপুরে কোন তৎপরতা দেখা যায়নি বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের। রাজপথে রয়েছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের দখলে। সর্তক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় এ রায় দেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খবর নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা রাজপথে মহড়া দিলেও দেখা মিলছে না বিএনপির কোন নেতাকর্মীর। জগন্নাথপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সেহেল আহমদ খান টুনু জানিয়েছেন, আমরা জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীরা সুনামগঞ্জে অবস্থান করছি। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জগন্নাথপুরে কর্মসূচি পালিত হতে পারে। এদিকে রায় ঘোষণার পরপর তাৎক্ষনিক আনন্দ মিছিল করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকমল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু মিয়ার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ দলের সহযোগি সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিলে অংশ নেন। দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাফরোজ ইসলাম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক রুমেন আহমদের নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পৌর পয়েন্টে অবস্থান নেয়।
উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল মুকিতের নেতৃত্বে শহরের ইকড়ছই শাহী ঈদগাহ পয়েন্টে উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। অপরদিকে সকাল ১০টার দিকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ছালিক আহমদ পীরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মোড়ে অবস্থান গ্রহণ করে। পরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটি ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে সিএ মার্কেট এলাকা থেকে র্যালি বের করে স্থানীয় পৌর পয়েন্টে গিয়ে শেষ করেছে। উল্লেখ্য, জিয়া আরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ বাকি আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। খালেদা জিয়া ছাড়া সবাইকে দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।