ডিভোর্স মেনে নিয়েছি, নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করবো: অপু বিশ্বাস
প্রশ্ন: কেমন আছেন?
অপু বিশ্বাস: এইতো সকলের দোয়াতে ভালই আছি।
প্রশ্ন: ডিভোর্সের বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছিলাম
অপু বিশ্বাস: জ্বি, বলুন।
প্রশ্ন: সকল গুঞ্জন ছাপিয়ে ডিভোর্স এর সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছেন?
অপু বিশ্বাস: আসলে মেনে নেয়া না নেয়াটা তো মূল বিষয় না। শাকিব খান আমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছিলেন। আমি সেটা মেনে নিয়েছি।
প্রশ্ন: শাকিব খান জয়ের দায়িত্ব নেবেন বলেছেন, এ বিষয়ে কি ভাবছেন?
অপু বিশ্বাস: শাকিব খান আসলে এমন একজন ব্যাক্তি, যার উচিত এ খবর শুনে বাংলাদেশে এসে পার্টি দেয়া। উনার কেইস বা মামলায় আর আমি নেই। এমনকি আমার জয়ের দ্বায়িত্বও উনার নেয়া লাগবে না। এখন তো উনি পৃথিবীতে সবচেয়ে স্বাধীন ব্যাক্তি বলে আমি মনে করি।
প্রশ্ন: জয়কে নিয়ে কি ভাবছেন, আর নতুন করে কাজ শুরু করলেন এ নিয়ে কিছু বলুন
অপু বিশ্বাস: ডিভোর্স মেনে নিয়ে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করছি আমি এটা চূড়ান্ত। আর জয়ের জন্ম হয়েছে বলেই শাকিব খান আমাকে ডিভোর্স দিয়েছেন। যখন দীর্ঘ ৮ বছর লুকিয়ে সংসার করেছি তখন কি তার সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়নি। তখন কি উনি আমার ভাল মন্দ দেখেন নাই? এখন কি এমন হয়ে গেল যে আমার সব মন্দ জিনিসগুলাই তার চোখে পড়ে গেল।
প্রশ্ন: কেন এই ডিভোর্স, এ বিষয়ে আপনার কি মন্তব্য ?
অপু বিশ্বাস: ভেবে দেখেন, আমি ৮ বছর লুকিয়ে থাকলাম, আমি ১০ মাস জয়কে পেটে রাখলাম, সেই আমিই গোপনে ৬ টা মাস আমার জয়কে লালন করে পৃথিবীর আলো দেখালাম, যখন এই এতকিছুর পর আমার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছিল তখন আমি আর পারি নাই। আমি কোন মনিষী না, আমি একজন সাধারণ মানুষ। তখনি কিন্তু আমি জয়কে নিয়ে সকলের সামনে এসেছি। যে মানুষ জয়ের জন্মটাই মেনে নিতে পারেননি সে মানুষ জয়ের ভরণ-পোষণ এর দ্বায়িত্ব নিবেন কোথা থেকে?
প্রশ্ন: তাহলে যে শাকিব খান বিভিন্ন সময়ে মিডিয়াকে বলে এসেছে আপনার জন্য তিনি জয়কে কাছে পান না বা জয়ের সাথে তার দেখা হয় না এটা কি সত্যি?
অপু বিশ্বাস: শাকিব খান তো মূলত জয়কে নিয়ে যেসকল কথা বলে এটা শুধুমাত্র তার ক্যারিয়ারটাকে বাঁচানোর জন্য। সে কিছুদিন আগে দেশে এসে বলেন যে তিনি জয়কে দেখার জন্য দেশে এসেছিলেন এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। জয়কে দেখার জন্য তিনি সেদিন বিকেল ৪ টায় এসে রাত ২ টার ফ্লাইটে দেশের বাইরে চলে যান। দেশে এসে তিনি সেলুনে গেছেন চুল কাটতে, তাহলে তিনি জয়কে দেখতে আসলেন কখন? অযৌক্তিক কথা বললে হবে? শাকিব খানের বোঝা উচিৎ শাকিব খান যে মাপের একজন আর্টিষ্ট তার প্রত্যেকটা কথায় যুক্তি থাকা দরকার। এরকম অযৌক্তিক কথা বললে হয়? যে ব্যাক্তি জয়ের জন্মের কারনে আমাকে ডিভোর্স দিচ্ছে সে ব্যক্তি কিভাবে জয়ের দ্বায়িত্ব নিবেন? আর যখন তিনি দেখলেন জয়কে আমার থেকে সারা দেশের মানুষ বেশী ভালবাসে, জয় মানুষের কাছে একটা সিম্পেথির জায়গা করে নিয়েছে তখনই তিনি তার ক্যারিয়ার বাঁচানোর জন্য জয় জয় করে সে মুখ শুকিয়ে ফেললেন। উইনি বলেছেন দেশের বাইরে থেকে নাকি তিনি এসেছেন শুধু জয়ের কারনে। আসলে তিনি ত জয়ের কারনে আসেননি, তিনি ইন্ডিয়া থেকে এখানে সেছেন কারন তার ভিসা এদেশ থেকে হইসে জন্য। এদেশ থেকেই তাকে ফ্লাই করতে হবে। আর সে যেহেতু বাংলাদেশের নাগরিক তাকে এখান থেকেই বিমানে চড়তে হবে। এ না হলে সে বিকাল ৪ টায় এসে সেলুনে গেলেন, যেহেতু শাকিব খানের ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট রাত ২ টায় তাকে রাত ১০ টা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে এয়ারপোর্ট থাকতে হবে। কিভাবে উনি জয়ের সাথে দেখা করতে পারবেন বলেন? জয় কি উনার বাসায় থাকে যে এসেই দেখতে পাবে? যা বলেছেন উনি তা ছিল মিথ্যে কথা।
প্রশ্ন: এখন কি আবার অপু বিশ্বাস হয়েই ফিরছেন দর্শকদের কাছে?
অপু বিশ্বাস: আমি তো বরাবরই অপু বিশ্বাসেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। অপু ইসলাম খান তো আমি কোথাও ব্যাবহার করিনি। আমাকে শুরু থেকেই যারা প্রশ্ন করেছেন তাদের বলেছি আপনারা আমাকে চিনেন কি নামে? অপু বিশ্বাস নামে তো। তাহলে এটাই আমার নাম এ পরিচয়েই কাজ করে যাব। যেহেতু আমার দর্শকরা আমাকে অপু বিশ্বাস নামে বলতে, দেখতে ও শুনতে অভ্যস্ত আমিও এটাই চাই। আর আমার পরিবার আমার এ নামে চেনে, আমার পরিবার ঘটা করে আমার অপু বিশ্বাস নামটা রাখসে। এ নামেই আমি আপনাদের মাঝে থাকতে চাই।
উল্লেখ্য, গেল বছরের ২২ নভেম্বর অপুকে তালাক নোটিশ পাঠান শাকিব। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অপুকে পাঠানো শাকিবের তালাক নোটিশের ৯০ দিন পূরণ হচ্ছে। এর মধ্যে দু’জনের সমঝোতা না হলে বিধি মোতাবেক ডিভোর্স কার্যকর হয়ে যাবে।