ট্রাম্প বিপাকেঃপর্নো তারকার মামলা
প্রচারণা দলের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না বলে দাবি করেছিলেন ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের আইনজীবী মাইকেল কোহেন। স্টেফানি মামলায় অভিযোগ করেছেন, ২০০৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলে প্রার্থিতার লড়াইয়ে ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পর যখন একের পর এক নারী তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনছিলেন, স্টেফানি তখনই মুখ খুলতে চেয়েছিলেন। এ সময় আইনজীবী মাইকেল কোহেনের মাধ্যমে স্টেফানির মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্প উদ্যোগী হন বলে মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার সুপিরিয়র কোর্টের সিলমোহর রয়েছে এই নথিতে। এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ট্রাম্পের নির্দেশে কোহেন মুখ বন্ধ রাখার চুক্তির খসড়া প্রস্তুত করেন। এই খসড়ায় এসেনশিয়াল কনসালট্যান্টস এলএলসি নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে স্টেফানির নীরবতার বিনিময়ে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। মামলায় এই চুক্তির একটি কপিও সংযুক্তি হিসেবে দিয়েছেন স্টেফানি। তাঁর নথিতে এই পর্নো তারকা আরও জানিয়েছেন, এসেনশিয়াল কনসালট্যান্টসের সঙ্গে চুক্তিতে ডেভিড ডেনিসন ও পেগি পিটারসন ছদ্মনামে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প ও স্টেফানি। মামলার নথিতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের নভেম্বরের নির্বাচনের কয়েক দিন আগে স্টেফানি চুক্তির নথিতে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। মাইকেল কোহেনও এসেনশিয়াল কনসালট্যান্টসের জায়গায় নিজের নাম সংযুক্ত করেন। তবে ট্রাম্প তা করেননি। কাজেই এই চুক্তি বস্তুত অকার্যকর হয়ে পড়ে। এই মামলার ব্যাপারে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে গতকাল বুধবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো মন্তব্য আসেনি।