সংসদ নির্বাচনে জাপা’র ২৫ প্রার্থী চূড়ান্ত!
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তত বিশ-পঁচিশ জনকে মৌখিকভাবে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পার্টির নেতারা জানান, যে আসনগুলোতে দলের প্রার্থী দুর্বল বা যেখানে প্রার্থী নেই, সেসব স্থানে প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়েছে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। চার মাস আগে থেকেই নির্বাচনের জন্য প্রার্থী নির্ধারণ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন এরশাদ। আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রাথমিক চিন্তা করছে জাপা। এক্ষেত্রে ঠিক কতটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে, তা ঠিক হবে আরও পরে। বিশেষ করে নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়া বা না নেওয়ার ওপরে বিষয়টি নির্ভর করবে যে, মোট কতগুলো আসনে প্রার্থী দেবে জাপা। জাপার কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের প্রক্রিয়া এখনও অনির্ধারিত। অনেক কিছুই ঘটতে পারে এই সময়ে। কিন্তু আমাদের চেয়ারম্যান ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছেন। আগামী দিনগুলো অনাকাঙ্ক্ষিত, ফলে চূড়ান্তভাবে কী হবে, তা বলা মুশকিল।’ এদিকে, আগামী ২৪ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠেয় মহাসমাবেশ থেকে নির্বাচনী বার্তা দেবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এদিন দলীয় নেতাকর্মী ও দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আগামী নির্বাচন নিয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করবেন তিনি। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে জাতীয় পার্টি। সমাবেশে কয়েক লাখ লোক জড়ো করতে সারাদেশে ছুটে বেড়াচ্ছেন দলটির নেতারা। দলের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানিয়েছেন, অন্তত তিন লাখ লোকের সমাগম করে রাজনীতিতে আওয়াজ দিতে চাচ্ছেন এরশাদ। আর তার মনোবাসনা পূর্ণ করতে উঠেপড়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জাপার সিনিয়র নেতারা। জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতী বলেন, ‘অন্তত পাঁচ লাখ নেতাকর্মী জড়ো করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। সমাবেশে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেবেন পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।’ তিনি বলেন, মহাসমাবেশকে সফল করতে কেন্দ্রীয় নেতারা সারাদেশে ছুটে বেড়াচ্ছেন। গত শুক্রবার চট্টগ্রামে সমাবেশ হয়েছে। সামনে ময়মনসিংহ বিভাগের সমাবেশ বাকি আছে। সব নেতাকর্মীকে ঢাকামুখী করতেই এই প্রচেষ্টা ও কর্মসূচি। তবে মহাসমাবেশে কী ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য থাকতে পারে এমন প্রশ্নে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হু্সেইন মুহম্মদ এরশাদ জানান, ‘মহাসমাবেশে যেকোনও মেসেজই দিতে পারি।