কলেজ ছাত্রীর খণ্ড-বিখণ্ড দেহ: পুলিশের কাছে নানা প্রশ্ন
মৌলভীবাজার: কলেজ ছাত্রী তন্নিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে নাকি সে নিজ ইচ্ছায় আত্মহত্যা করেছে? আর আত্মহত্যা করলে তন্নির পরণের বোরকা ও হাতের পরীক্ষার ফাইল কেন রেললাইনের পাশেই পড়ে থাকবে- এমন সব প্রশ্নের উত্তর বের করতে কাজ শুরু করছে পুলিশ। শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানা পুলিশ বেশ কিছু সন্দেহজনক প্রশ্ন সামনে রেখে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত রির্পোট হাতে পেলে তদন্ত কাজে আরও অগ্রগতি আসবে বলেও আশা করছেন শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই দাবি করেছেন, তন্নিকে পরিকল্পিতভাবেই ধর্ষণের পর হত্যা করে রেললাইনে শুইয়ে দেয়া হয়েছে। যদিও পুলিশ এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু বলেনি। গত ২৮ মার্চ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় নগর রেলক্রসিং এলাকা থেকে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের অনার্স ফাইনাল বর্ষের পরীক্ষার্থী তন্নির (২৪)খণ্ড-বিখণ্ড মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শিক্ষার্থী তন্নি কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের পাবই গ্রামের আনোয়ারুল হকের মেয়ে ও কমলগঞ্জের পতনউষার গ্রামের রাসেল আহমদের স্ত্রী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২৮ মার্চ) রাতে গোপালনগর রেলক্রসিংয়ের পাশে রেললাইনের ওপর এক নারীর খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকার সংবাদ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে প্রথমে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ এবং শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার মর্গে পাঠায়। কমলগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, তরুণীর দেহ, দুই পা এবং মাথা রেললাইনের ওপর পড়ে রয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তন্নির পরিচয় নিশ্চিত করেছে। এ সময় রেললাইনের পাশে তার ব্যবহৃত পরীক্ষার কাগজপত্র, বোরকা, পায়ের জুতা ও মোবাইলফোন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড বলেই ধারণা করছে পুলিশ। শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক তন্নি’র প্রসঙ্গে বলেন, কলেজছাত্রীর বাবার বাড়ি কুলাউড়ার হাজীপুর ইউনিয়নের পাবই গ্রামে, স্বামীর বাড়ি কমলগঞ্জের পতনউষার গ্রামে। পরীক্ষা দিয়েছে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে। তাহলে কমলগঞ্জের নগর রেলক্রসিং এলাকায় সে কি করছিল? আত্মহত্যা করলে পরীক্ষার ফাইল, বোরকা ছিন্নভিন্ন হওয়ার কথা। সেগুলো একপাশে পড়ে থাকা রহস্যজনক।