তাহিরপুরে কিশোরীকে ধর্ষণ, অভিযোগ করায় মারধর
তাহিরপুর :: তাহিরপুরে এক কিশোরীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে এক লম্পট। ধর্ষণের পর ঐ কিশোরীকে ধানক্ষেতে ফেলে রেখে যায় নাজু মিয়া (২০) নামের যুবক । সে উপজেলার দক্ষিন বড়দল ইউনিয়নের নালের বন্ধ গ্রামের আলিনূর মিয়ার ছেলে। সোমবার বিকাল ৫টার দিকে সংবাদ পেয়ে তাহিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধষর্ণের শিকার কিশোরীকে ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দি কে ধর্ষক নাজু ফোন করে কিশোরীকে ঘর থেকে বাইরে নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে মুখে গামছা বেধে বাড়ির সামনে ধান ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরে জ্ঞান ফিরলে ঐ কিশোরী ধর্ষকের পিতা ও মাকে বিষয়টি জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধোর করে আবারো ধান ক্ষেতে ফেলে আসে। সোমবার সকালে স্থানীয়রা পুলিশকে বিষয়টি জানালে তাহিরপুর থানার এস আই সাইফুর রহমান ও এস আই আমির ঘটনাস্থলে এসে ধান ক্ষেত থেকে কাদা মাখা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। ভিকটিমের মা বলেন, ধর্ষক নাজু সব সময় আমার মেয়েকে রাস্তা ঘাটে বিরক্ত করতো। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় বিচার দিলেও বিচার করতো না। বরং আমার মেয়েকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতো। এ ব্যাপারে নাজুর পিতা আলিনুর মিয়া বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তার ছেলের ঘরে ঐ কিশোরী সোমবার সকালে ঢুকে পড়ে। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্যের মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে দিতে চাইলে সে বাড়িতে না গিয়ে ধান ক্ষেতে শুয়ে থাকে। তাকে কোন ধরনের নির্যাতন করা হয়নি। তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর এ বিষয়ে বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। তবে এখনও কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। ধর্ষককে ধরতে অভিযান চলছে।