নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পদ্মাসেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ হওয়ায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের মিথ্যা অভিযোগ তোলা বিশ্ব ব্যাংককে ছাড়াই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের কাজ শুরু করায় বাংলাদেশকে নিয়ে আর কেউ ষড়যন্ত্র করতে পারবে না।’ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৭ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মাসেতুতে অর্থায়নের জন্য বিশ্ব ব্যাংক চুক্তি করেও দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে তা বাতিল করে। পরে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ কাজ এগিয়ে নেওয়ায় দাতা সংস্থাগুলোও বুঝেছে, বাংলাদেশকে নতজানু করে রাখা যায় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা করণীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন সবই আমরা একে একে করে যাচ্ছি। যার ফল দেশের মানুষ পাচ্ছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। এখন আর পরমুখাপেক্ষী হতে হয় না। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ৯০ ভাগই আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করতে সক্ষমতা অর্জন করেছি। স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি মনে করি যে, স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আপনারা আজ যারা পুরস্কার পেয়েছেন। আপনাদের মেধা ও মদদ নিয়ে আমরা একটি প্রগতিশীল সমাজ গড়ে তুলতে চাই। তাই আমরা চাই, আমাদের ভবিষ্যত বংশধররাও এভাবে গড়ে উঠবে। তারা স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে কৃতিত্বের সাথে অবদান রাখবে।
স্বাধীনতা পুরস্কার ২০১৭-প্রাপ্তদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী। ছবি: ফোকাস বাংলা
কারো কাছে হাত পেতে বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবে না বলেও দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২১ সালে কারো কাছে হাত পেতে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করতে চায় না বাংলাদেশ। সুষ্ঠু উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়েই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই ভবিষ্যতে পরমুখাপেক্ষী হয়ে থাকবে না এই জাতি। সবক্ষেত্রেই এগিয়েছি, আরও এগিয়ে যাবো। তিনি আরও বলেন, প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, বাজেট বৃদ্ধি করেছি। পাঁচ কোটি মানুষ নিম্ন থেকে মধ্যবিত্ত হয়েছে। হতদরিদ্রের হার কমেছে, লেখাপড়ার হার বেড়েছে। পৃথিবীতে কোনো দেশ এক সাথে এতো বেতন কখনও বৃদ্ধি করে না, যা আওয়ামী লীগ সরকার করেছে। এর আগে ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৭ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম। পরে পদক বিজয়ীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব ফটোসেশনেও অংশগ্রহণ করেন।