এবার সেতুতে রডের বদলে বাঁশ!
বিভিন্ন ভবনে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহারের ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন স্থানে। এনিয়ে সমালোচনার মধ্যেই এবার দক্ষিণ সুনামগঞ্জের একটি সেতুর গোড়ায় রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার হয়েছে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জের গ্রামীণ রাস্তায় প্রায় ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সেতু নির্মাণ করা হয়। ওই সেতুর এপ্রোচে বাঁশ ব্যবহারের বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় এলাকার তোলপাড় শুরু হয়েছে। সেতুটি নির্মাণ করেছে এলাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স স্মার্ট এন্টারপ্রাইজ। তবে ঠিকাদার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দাবি, রডের পরিবর্তে কোথাও বাঁশ ব্যবহার করা হয়নি। বন্যার সময় কাজ করতে সাটার আটকানোর জন্য বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই বাঁশগুলো আর বের করা সম্ভব হয়নি, তাই কিছু বাঁশ দেখা যাচ্ছে।
জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও-হাসকুঁড়ি রাস্তার জিল্লুর মিয়ার বাড়ীর সমানের খালে ২৭ লক্ষ ৯৪ হাজার ২৫৬ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুর নির্মাণ শ্রমিক বীরগাঁও গ্রামের রফিজ আলী জানান, গত বর্ষাকালে ঠিকাদার এ ব্রিজের কাজ শুরু করেছিল। সেতুতে ময়লা পাথর ও বালি ব্যবহার করা হয়েছে। রডের সাথে বাঁশের ছোট বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে।’ বীরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মির্জা হোসেন জানান, নিম্নমানের কাজের বিষয়ে আমরা অনেক বার বাঁধা দিয়েছি। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শুনেনি। আমরা দেখেছি নিম্নমানের কাজ হয়েছে। পূর্ব বীরগাঁও ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য জুবায়েল আহমদ বলেন, ‘ব্রিজের বেশ কিছু জাযগায় ফাটল দিয়েছে। ফাটলে রড ও বাঁশ বের হয়েছে, যা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।’অভিযুক্ত ঠিকাদার মো. মোজাহিদ মিয়া বলেন, ‘সেতুতে রডের সাথে বাঁশ ব্যবহার করা হয়নি। কাজ করার সময় পানি চলে আসায় সাটারের মাঝে বাঁশ দেয়া হয়েছিল। বাঁশ ব্যবহার করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সব দায় নেব আমি।’ দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন ভুঞা বলেন, ‘সেতুতে রডের সাথে কোন ধরনের বাঁশ ব্যবহারের সুযোগ নেই। কাজ করার সময় বন্যা ছিল, তাই দুইপাশের সাটার আটকানোর জন্য কিছু বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই বাঁশগুলো আর বের করা সম্ভব হয়নি, তাই কিছু বাঁশ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু রডের সাথে কোনো বাঁশ ব্যবহার করা হয়নি।’