এক নজরে জেলা’র এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল
এসএসসি পরীক্ষায় জেলায় এবার পাশের হার কমেছে ১২.৬২%। তবে এবার জিপিএ ৫ বেড়েছে ১২১টি। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশি ছিল। কিন্তু ফলাফলের দিক থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া ও পাসের হারে এগিয়ে আছে ছেলেরা। পাশের হার এবং জিপিএ প্রাপ্তির দিক থেকে প্রথম হয়েছে ছাতক উপজেলা। পাশের হারের দিক থেকে নিচের অবস্থানে রয়েছে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ৫৩% এবং সবচেয়ে কম জিপিএ ৫ পেয়েছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা ৬টি। এদিকে জেলায় সবচেয়ে ভালো ফল করেছে পৌর শহরের সরকারি এসসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২৩৮জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৩৭জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৮জন। সরকারি এসসি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক ্ষক হাফিজ মো. মাশহুদ চৌধুরী বলেন,‘শিক্ষার্থী শিক্ষক এবং অভিভাবকদের আন্তরিক চেষ্টা আমার প্রতিষ্ঠান এই ভালো ফল করেছে। আমার আশা করি ভবিষ্যতে সাফল্যের এই ধারা অব্যাহত থাকবে। ’ফলাফলের দিক থেকে জেলা দ্বিতীয় স্থানে আছে সুনামগঞ্জ শহরের সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২৪৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৪২জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৩জন।
সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মফিজুল হক মোল্লা বলেন,‘আমাদের ফল এবার গত বছরের চেয়ে ভালো হয়েছে। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩৭জন শিক্ষার্থী। এবার পেয়েছে ৪৩জন।জেলা য় এবার ২০৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২৩ হাজার ৫শত ৬৭ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১৬ হাজার ১শত ৪৮ জন শিক্ষার্থী। পাশের হার ৬৮.৫১%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৬৭ জন শিক্ষার্থী। সদর উপজেলায় ২০টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ হাজার ৬শত ৮ জন অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ২ হাজার ৬শত ৫৬ জন। পাশের হার ৭১.৬১%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১০৫টি। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৩শত ৬০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৪১ জন। পাশের হার ৫৪.৪৮%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬ জন। ছাতক উপজেলায় ৩৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৩ হাজার ৮শত ১৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩ হাজার ৩শত ৪৫জন। পাশের হার ৮৭.৬১%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১২৬ জন। জগন্নাথপুর উপজেলায় ২৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার ৫৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ হাজার ৪শত ৯৮জন। পাশের হার ৭২.৩২%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২২জন। জামালগঞ্জ উপজেলায় ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১হাজার ৩শত ২৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮শত ২৩জন। পাশের হার ৬২.০৭%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৮ জন। তাহিরপুর উপজেলায় ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৮শত ৩১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ হাজার ৫৬জন। পাশের হার ৫৭.৬৭%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭জন। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৬শত ২৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮৬১ জন। পাশের হার ৫৩%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১২জন। দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার ৩শত ২০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ হাজার ৪শত ১জন পরীক্ষার্থী। পাশের হার ৬০.৩৮%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৩জন। ধর্মপাশা উপজেলায় ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার ৪ত ১৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ হাজার ৪শত ৩৪জন। পাশের হার ৬৯.৩৭%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৬ জন। দিরাই উপজেলায় ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার ৩শত ২৩জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ হাজার ৬শত ৯১ জন। পাশের হার ৭২.৭৯%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩১জন। শাল্লা উপজেলায় ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৮৮৩জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬৫১জন। পাশের হার ৭৩.৭৩%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১জন। এদিকে মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষায় জেলায় ৯১টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ হাজার ৭শত ৩৩ জন অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ২ হাজার ৫শত ৮৭ জন। পাশের হার ৬৯.৩০%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২২ জন। ছাতক উপজেলায় জিপিএ পেয়েছে ১৯জন। এছাড়াও এসএসসি কারিগরি বোর্ডের পরীক্ষায় জেলায় ৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৬৫৪জন অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪৩৮জন। পাশের হার ৬৬.৯৭%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৫জন। এ প্রসঙ্গে ‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও’ আন্দোলন সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বজলুল মজিদ চৌধুরী বলেন,‘দেশবাসী জানে গত বছর সুনামগঞ্জের হাওরে ব্যাপক ফসলহানির ঘটনা ঘটেছিল। মানুষজন অনেক দুঃখ-কষ্টে ছিলেন। হাওরের এই জেলার মানুষের জন্য এটা বড় ধরনের দুর্যোগ ছিল। তারপরও আমাদের শিক্ষার্থীরা যে ফল করেছে তাতে আমরা খুশি।’’
ছাতক:
ছাতকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে ৩৮টি জিপিএ ৫ লাভ করে গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় উপজেলার মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। বিদ্যালয়ের ৪২৪ জনের মধ্যে ৩৮৭জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। পাশের হার শতকরা ৯১.২৭ভাগ। ২৩টি জিপিএ-৫ এবং শতকরা ৯৮.১১ ভাগ পাশের হার নিয়ে মঈনপুর উচ্চ বিদ্যালয় ২য় ও ১০টি জিপিএ-৫ নিয়ে ছাতক সিমেন্ট কারখানা উচ্চ বিদ্যালয় ৩য় স্থানে রয়েছে। এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলার ৩৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ হাজার ৮১৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৩ হাজার ৩৪৫ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। জিপিএ-৫ লাভ করেছে ১২৬ জন শিক্ষার্থী। পাশের হার শতকরা ৮৭.৬১ ভাগ। শতভাগ ফলাফল অর্জন করেছে চরমহলা বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, মোগলগাঁও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১টি জিপিএ-৫সহ ছালেহা খাতুন কুর্শি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ ছাড়া ছাতক বহুমুখী মডেল হাইস্কুল ৯টি, পালপুর উচ্চ বিদ্যালয় ৮টি, ঝিগলী স্কুল এন্ড কলেজ ও পাইগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় ৭টি করে, চন্দ্রনাথ বালিক া উচ্চ বিদ্যালয় ও শুকুরুন্নেছা চৌধুরী স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় ৪টি করে, ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, এসপিপিএম উচ্চ বিদ্যালয় ও আনুজানী জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয় ৩টি করে, জাহিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় ২টি এবং সমতা স্কুল এন্ড কলেজ, বাংলাবাজার সামারুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়, হাজী আব্দুল খালিক উচ্চ বিদ্যালয় ও জালালাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ১টি করে জিপিএ-৫ লাভ করেছে। এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া উপজেলার ৩৮টি মধ্যে ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোন জিপিএ-৫ লাভ করতে পারেনি। দাখিল পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী বুরাইয়া কামিল মাদ্রাসা ১৪টি জিপিএ-৫ লাভ করে উপজেলার শীর্ষে রয়েছে। ২৪টি মাদ্রাসার ৯১৬ জনের মধ্যে ৭৫০জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। জিপিএি-৫ লাভ করেছে ১৯ জন শিক্ষার্থী। ছাতক জালালিয়া আলিম মাদ্রাসা, সিংচাপইড় ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা, লাখেশ্বর দাখিল মাদ্রাসা, আল-ইখওয়ান বালিকা দাখিল মাদ্রাসা ও মোহাম্মদিয়া হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসা ১টি করে জিপিএ-৫ লাভ করেছে। কুমারকান্দি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, জাহিদপুর জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, আল-ইখওয়ান বালিকা দাখিল মাদ্রাসা ও শাহ সুফী মুজাম্মিল আলী(রাঃ) দাখিল আল-ইখওয়ান বালিকা দাখিল মাদ্রাসা শতভাগ ফলাফল করেছে। কারিগরী পরীক্ষায় ২৫৭জনের মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১৯৮ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ লাভ করেছে ১৪ জন ছাত্র-ছাত্রী। পাশের হার শতকরা ৭৭.০৪ ভাগ। কারিগরী পরীক্ষায় চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১২টি ও ছাতক টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজ ২টি জিপিএ-৫ লাভ করেছে।
জগন্নাথপুর:
জগন্নাথপুর উপজেলার সব ক’টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে সেরা ফলাফল করেছে জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের একমাত্র সরকারী স্বরূপ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় এ বিদ্যালয় থেকে ৬৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ৬১ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাশের হার ৯২.৪২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলো গৌর গোপাল তালুদকার, শান্ত দেবনাথ, গাউছ ইসলাম তানভীর, গোপীনাথ তালুদকার ও জুনায়েদ আহমদ। এদিকে উপজেলা সদরের একমাত্র সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে রয়েছে শিক্ষক সংকট। এবার এ বিদ্যালয় থেকে ৭৬ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৬১জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। তারা হলো, সুম্মিতা গোষ¦ামী মৌ ও আন্না রানী গোপ। পাশের হার ৮০.২৬ শতাংশ।
তাহিরপুর:
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ:
উপজেলার ১৪টি মাধ্যমিক স্কুলে ১৩৬০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছেন ৭৪১ জন। পাসের হার ৫৬.৩৩ শতাংশ। ৪টি মাদ্রাসা থেকে ১৭২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছেন ৫৮ জন যা ৩৪.০০ শতাংশ। কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদ্রাসা থেকে কোনো শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ না পেলেও ৬টি জিপিএ-৫ পেয়েছে এসএসসির শিক্ষার্থীরা। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক রঞ্জন পুরকায়স্থ বলেন, ‘এটা ঠিক যে আমরা এবছর ফল ভালো করিনি। তবে আগামী পরীক্ষায় ভালো করার তাগিদ থাকবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি।’
দোয়ারা:
দোয়ারাবাজারে এবারের এসএসসি ও দাখিল সমমানের স্কুলে পরীক্ষায় ২৩২০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১৪০১ জন। পাশের হার ৬০.৩৮%। সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে সমুজ আলী স্কুল ও কলেজ। পাশের হার ৮৫%। মাদ্রাসায় ৫২৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪৪৭জন। শত ভাগ পাশ করেছে নরসিংপুর আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা। ফলাফলের নিচের দিকে রয়েছে প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়। ১৪৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৪১ জন। পাশের হার ২৭%। এদিকে কলাউড়া ফাজিল মাদ্রায় ৯৯জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯৮জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে, পাশের হার ৯৮%। পেশকারগাঁও দাখিল মাদ্রাসায় ৪৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪১জন পরীক্ষার্থী পাশ করে ছে, পাশের হার ৯৫%। ইসলামপুর দাখিল মাদ্রাসায় ২৯জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৭জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে, পাশের হার ৯৩%। দারুল হেরা দাখিল মাদ্রাসায় ৫১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৫ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে, পাশের হার ৮৮%। বড়ইউরি আলিম মাদ্রাসায় ৬৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৩ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে, পাশের হার ৮৪%। চামতলা ইঃ দাখিল মাদ্রাসায় ৭২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬০জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে, পাশের হার ৮৩%। এছাড়াও সিদ্দেকে আকবর লতিফিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ২৭জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২১জন, লামাসানীয়া ইঃদাখিল মাদ্রাসায় ৫৯ জনের মধ্যে ৪১জন, দীনেরটুক আলিম মাদ্রাসায় ৩৩ জনের মধ্যে ২১ জন, স্কুলের ফলাফল সোনাপুর এসি এসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৭জন, রাগিব রাবেয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬৮জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫জন, হাজী কনু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫২ জন পলীক্ষার্থীর মধ্যে ১১১জন, বড়খাল উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৭৫ জন পলীক্ষার্থীর মধ্যে ২০৫ জন পরীক্ষার্থী, মিতালি পাবলিক বিদ্যালয়ে ১৭২ জন পলীক্ষার্থীর মধ্যে ১২৩ জন, ঘিলচড়া স্কুল ও কলেজে ১২৩ জন পলীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৬ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে ।
ধর্মপাশা:
ধর্মপাশায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১ হাজার ৫৪০ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলার ২১টি মাধ্যমিক ও ৪টি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ২ হাজার ৫৭৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। উপজেলার আবিদনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯২% পরীক্ষার্থী পাস করে প্রথম ও ভোলাগঞ্জ সার্বজনিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩২% পরীক্ষার্থী পাস করে সর্বনি¤œ স্থান দখল করেছে। জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ জন, মধ্যনগর বিপি হাই স্কুল এন্ড কলেজে ৫ জন,
লায়েছ ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ জন, বাদশাগঞ্জ পাবলিক হাই স্কুলে ১ জন ও বাদশাগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ জনসহ মোট ১৬ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
দাখিলে জিপিএ-৫ পায়নি ৮ উপজেলা
এসএসসি দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পায়নি জেলার ৮ উপজেলার মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। ১১ উপজেলার মোট জিপিএ-৫ মাত্র ২২টি। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানা গেছে।জানা যায়, দাখিল পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ৩৭৩৩
জন, পাশ করেছে ২৫৮৭ জন, পাশের হার ৬৯.৩০ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা ২টি, ছাতক উপজেলা ১৯টি ও শাল্লা উপজেলা ১টি। অন্য ৮ উপজেলার কেউ জিপিএ-৫ পায়নি।
দাখিল কারিগরিতে জিপিএ-৫ নেই
এসএসসি দাখিল কারিগরি পরীক্ষায় জেলায় জিপিএ-৫ পায়নি কেউ। ৩৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় পাশ করেছে ১৭ জন। পাশের হার ৪২.৪৬ ভাগ। জানা যায়, এসএসসি দাখিল কারিগরি পরীক্ষায় জেলার একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে শহরের দ্বীনি সিনিয়র মাদ্রাসার ৩৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। কিন্তু কেউ জিপিএ-৫ পায়নি।