ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ছিল অপরিহার্য: রাষ্ট্রপতি
মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ছিল অপরিহার্য। রাষ্ট্রপতি বলেন, “আজকের দিনটি জাতির জন্য অত্যন্ত আনন্দের, গর্বের। এখন থেকে বাংলাদেশ হবে স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য। মহাকাশে এই উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হল।” শুক্রবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এস্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ ব্লক-৫ রকেট স্যাটেলাইটটি নিয়ে মহাকাশের পথে পাড়ি জমায়। বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ১৪ মিনিটে রকেট উৎক্ষেপণের আধা ঘণ্টাখানেক পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কাঙ্ক্ষিত জিওস্টেশনারি ট্রান্সফার অরবিটে পৌঁছায়। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, স্যাটেলাই উৎক্ষেপণের সময় রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবন থেকে টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচার দেখেন।
রাষ্ট্রপতি এই ক্ষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, “একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য বর্তমান সরকার নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত ও সহজলভ্য করার ক্ষেত্রে ক্যাবলের পাশাপাশি স্যাটেলাইট সেবা সংযোজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” “বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের ফলে দেশের ব্রডকাস্টিং ও টেলিযোগাযোগ সেক্টরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে বলে আমার বিশ্বাস। ব্রডকাস্টিং ও টেলিকমিউনিকেশনে পরনির্ভরশীলতা পরিহার করে আমরা এই সেক্টরে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হবো।” রাষ্ট্রপতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিটিআরসি, স্যাটেলাইট প্রকল্প এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ এই স্যাটেলাইট নির্মাণ, উৎক্ষেপণের সঙ্গে জড়িত সকলকে ধন্যবাদ জানান।