ছনি চৌধুরী-বউ-শাশুড়ি হত্যাকা-ের সাথে জড়িত কে এই শুভ রহমান। তাঁকে ঘিরে দেখা দিয়েছে আলোচনা সমালোচনা। শুভকে নিয়ে হাজারো প্রশ্ন মানুষের মুখে মুখে । শুভ’র বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার খাগাউরা গ্রামে। বাল্যকাল থেকে শুভর বেড়ে উঠা নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের সাদুল্লাপুর গ্রামে তার নানা মানিক মিয়ার বাড়িতে । লেখাপড়াও তেমন করেনি শুভ। বর্তমানে তার বয়স প্রায় ১৯ ছুইছুই। অনেকদিন ধরে রাস্তাঘাটে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের ইভটিজিং করে আসছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর । প্রায় দিনই মেয়েদের উক্তোক্ত করার অভিযোগ রয়েছে এই যুবকের বিরুদ্ধে । এক কথায় শুভ ওই এলাকায় বখাটে ছেলে হিসেবেই ব্যাপাক পরিচিত। তার বেপরোয়া চলাফেরায় আতংকিত ছিল এলাকাবাসী। সবসময় তার কোমরে ছুড়ি থাকতো বলেও সূত্রে জানাগেছে । এছাড়াও সে বিভিন্ন নেশা করতো বলে একাধিক সূত্রে প্রকাশ । এদিকে ঘটনার কিছুদিন পূর্বে থেকে নিহত রুমি আক্তারের মোবাইল ফোনে বিভিন্ন নাম্বার থেকে কল আসতো । পরিচয় গোপন রেখে নানা অঙ্গভঙ্গিতে অকথ্য ভাষায় অশালীন কথাবার্তা বলতো। এসব কথা রুমি তার বড় ভাই এনামুল চৌধুরীকে জানিয়েছিল। শুভকে ঘিরে প্রথম থেকেই নানা প্রশ্ন তুলেছিলেন রুমির ভাই নজরুল ইসলাম । বুধবার বিকেলে হত্যাকা-ে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় সাদুল্লাপুর গ্রামের বখাটে শুভ রহমান ও আবু তালেবকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। গত রবিবার(১৩মে) রাত থেকে সোমবার(১৪মে) সকাল পর্যন্ত পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে প্রতিবেশী ফুরুক মিয়ার বাড়ির কাজের ছেলে আবু তালেব,প্রতিবেশী ক্বারী আব্দুস ছালাম,তার ছেলে সহিদুর রহমান,একই গ্রামের শুভ রহমান ও রিপন সুত্রধরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে ক্বারী আব্দুস ছালাম,তার ছেলে সহিদুর রহমান,একই গ্রামের রিপন সুত্রধরকে চেয়ারম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয় । এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে আখলাক চৌধুরীর বাড়ির পাশ থেকে হত্যাকা-ে ব্যবহারকৃত ছুড়ি ও কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানাগেছে ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn