ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িত থাকায় কয়েকশ’ ব্রিটিশ নাগরিককে আটক
ভিক্ষাবৃত্তির কারণে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে কয়েকশ’ ব্রিটিশ নাগরিককে আটক করা হয়েছে। এমনকি তাদের কাউকে কাউকে জরিমানাও করা হয়েছে। ইস্ট লন্ডন থেকেও ভিক্ষুকদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দরিদ্র ও আশ্রয়হীন এ সব লোককে টার্গেট না করার জন্য পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেয়ার পরও পাবলিক স্পেস প্রোটেকশন অর্ডার বা সরকারি জায়গা সুরক্ষা আইনের নামে ৫০টিরও বেশি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাদেরকে আটক ও জরিমানা করা অব্যাহত রেখেছে। এসব এলাকায় ভিক্ষা করার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়লে কয়েকশ’ পাউন্ড জরিমানা ও সরাসরি কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। দরিদ্র ব্রিটিশদের ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে ও রাস্তায় ঘুমানো প্রতিরোধ করতে ২০১৪ সালে কমিউনিটি পুলিশকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসা মে। এরপর থেকেই এ ধরনের ঘটনা ক্রমেই বেড়েছে। সম্প্রতি ভিক্ষা করে ব্রিটিশ ক্রিমিনাল বিহেভিয়ার অর্ডার (সিবিও) ভঙ্গ করার দায়ে গ্লোসেস্টারে এক দরিদ্র ঘরহীন ব্যক্তিকে চার মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহর ও নগরের কেন্দ্রগুলোতে ঘরহীন দরিদ্র লোকগুলোর প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে স্থানীয় কর্তৃপক্ষে এসব এলাকায় ভিক্ষার শাস্তি উল্লেখ করে শত শত নোটিশ টানিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনা স্বীকার করে ওই ব্যক্তির বিচারক বলেন, কেউ যদি ক্ষুধার্ত হয়ে অপরের কাছে খাবার চায় এজন্য আমি তাকে অবশ্যই কারাগারে পাঠাব। এক পরিসংখ্যান মতে, ভিক্ষা করার কারণে ২০১৪ সালে আটক করা হয় প্রায় ৫১ জনকে। এ লোকগুলোকে জরিমানা করা হলে জরিমানা দেয়ার অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে ১ হাজার ১০০ ব্রিটিশ পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা করা হয় বলে জানা গেছে। এসব ঘটনাকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো ‘চরম অমানবিক’ বলে অভিহিত করেছে। সংস্থাগুলো বলছে, দরিদ্র হওয়ার কারণে সুবিধাবঞ্চিত একটি গোষ্ঠীকে টার্গেট করা হচ্ছে।