জেলা আওয়ামীলীগ সহ অন্য সংগঠনের গণহত্যা দিবস পালন
আলোচনা সভা ও মৌন মিছিলের মধ্য দিয়ে জেলায় আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সংগঠন গণহত্যা দিবস পালন করেছে। দিনটি উপলক্ষে বিকালে উকিলপাড়া কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন এবং এর আগে দুপুরে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি শহরে মিছিল বের করে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর হাসনরাজা মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সুনামগঞ্জ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র আয়োজনে বের হওয়া মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলফাত উদ্দিন স্কয়ারে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি চিত্ত রঞ্জন তালুকদার, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, সাবেক সভাপতি অ্যাড. সালেহ আহমদ, যুগ্মআহবায়ক রুহুল তুহিন, মুক্তিযোদ্ধা সাধন ভদ্র, খেলাঘর সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি বিজন সেন রায় প্রমুখ। একই সময়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমি’র হাসন রাজা মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার মো. নাহিদ হাসান খাঁন’র সঞ্চালনায় গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আলম, সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জাহিদুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. আপ্তাব উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আলী আমজাদ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাসিম প্রমুখ। বিকালে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গণহত্যা দিবসের র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলফাত স্কয়ারে সমাবেশে মিলিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমনের সভাপতিত্বে ও যুবলীগ নেতা অ্যাড. নুরে আলম সিদ্দিকি উজ্জ্বলের সঞ্চালনায় পথ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী বীর প্রতীক, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সিরাজুর রহমান সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. নান্টু রায়, সাবেক প্রচার সম্পাদক হায়দার চৌধুরী লিটন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন বলেন,‘ জঙ্গিবাদের স্থান স্বাধীন বাংলাদেশে হবে না। জঙ্গিবাদ রুখে দেশকে বাঁচাতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দেশনেত্রী যেভাবে দেশকে উন্নয়ন করছেন কোনো কাউয়া যদি লুটপাটের মাধ্যেমে এই উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করে, তাদের কোনোভাবে ছাড় দেওয়া হবে না।’ সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন,‘২৫ মার্চে ঘাতকরা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে মেধাশূন্য করতে ছেয়েছিল। তারা এখনো আমাদের পিছু ছাড়েনি। সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এই ঘাতকরা সব সময় ওৎ পেতে আছে। সুযোগ পেলেই আরো ছোবল দিবে। তাই এদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেকে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।’ তিনি বলেন,‘আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের দলে কাউয়া ঢুকেছে। এরা লুটপাট করার জন্য এসেছে। আবার লুটপাটের জন্য অন্য দলে চলে যাবে।’ মিছিল সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ আল আজাদ, দেওয়ান ইমদাদ রেজা চৌধুরী, রেজাউল আলম নিক্কু, ইয়াকুব বখত বহলুল, ইশতিয়াক শামীম, অ্যাড. মলয় চক্রবর্তী রাজু, জুনেদ আহমদ, আবুল মহসিন মাহবুব, এবিএম ফজলুল করিম ফজলু, যুবলীগ নেতা হাবুল চৌধুরী, গৌতম বণিক প্রমুখ।