এইচএসসিতে পাসের হার ৬৬.৬৪, জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৯ হাজার
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার পাসের হার ৬৬. ৬৪ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শিক্ষা বোর্ডগুলোর ফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সব বোর্ডের চেয়ারম্যানরা এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারাও পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফল হস্তান্তর করেন। শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার পাস করেছে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮০১ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জন। তিনি জানান, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় চলতি বছর মোট ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়, যা গত বছরের তুলনায় এক লাখ ২৫ হাজার ৩৮৭ জন বেশি। এবার শিক্ষার্থী বাড়লেও গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ২.২৭ শতাংশ। গত বছর এইচএসসিতে পাসের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩৭ হাজার ৭২৬ জন। শিক্ষামন্ত্রী জানান, মোট ১০টি বোর্ডে গড়ে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের ফলাফল ভালো। এবার ছাত্রীদের পাসের হার ৬৯.৭২ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৬৩.৮৮ শতাংশ। তিনি জানান, কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট পাসের হার ৭৫.৫০ শতাংশ। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন এক লাখ ১৮ হাজার। এরমধ্যে পাস করেছেন ৮৯ হাজার ৮৯ জন। জিপিও-৫ পেয়েছেন দুই হাজার ৪৫৬ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে চলতি বছর ৯৭ হাজার ৭৯৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এরমধ্যে পাস করেছেন ৭৬ হাজার ৯৩২ জন। পাসের হার ৭৮.৬৭ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক হাজার ২৪৪ জন। শিক্ষামন্ত্রী জানান, বিদেশে সাতটি কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষা দেন ২৮৫ জন। এরমধ্যে ২৬৩ জন পাস করেছেন।
আজ দুপুর ১টায় সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত ফল তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আফরাজুর রহমান এ তথ্য জানান। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় গত ২ এপ্রিল। তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে ১৩ মে পর্যন্ত। আর ১৪ থেকে ২৩ মে’র মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এবার উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন। এরমধ্যে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৭৩০ জন ছাত্র ও ৬ লাখ ১৮ হাজার ৭২৭ জন ছাত্রী। এইচএসসিতে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে অংশ নেয় ১০ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ জন শিক্ষার্থী। আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ১ লাখ ১২৭ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম)-এ ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৪ জন ও ডিআইবিএসে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯৬৯। এছাড়া বিদেশের সাতটি কেন্দ্রে ছিল ২৯৯ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ১৫৯ জন ছাত্র ও ১৪০ জন ছাত্রী।