লাইসেন্স নেই পুলিশের, গাড়ি আটকে দিল শিক্ষার্থীরা
বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর নিহত হওয়ার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত চারদিন ধরে রাজপথ অবরুদ্ধ করে রেখেছিল স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ থেকে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরাও। তাদের বিক্ষোভ, মিছিল আর অবরোধের কারণে বুধবার সকাল থেকে রাজধানী কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। রাস্তায় কোনো যান চলতে দিচ্ছে না তারা। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা পুলিশের সামনেই যানবাহন থামিয়ে চালকদের কাছে লাইসেন্স দেখতে চাইছে। কোনো গাড়ি সামনে এসে পড়লে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা হচ্ছে। লাইসেন্স না থাকলেই চাবি আটক। এরই অংশ হিসেবে বুধবার (১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ধানমণ্ডিতে হারুণ আই হসপিটালের সামনে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের একটি গাড়িও শিক্ষার্থীদের লাইসেন্স পরীক্ষায় আটকে যায়। প্রায় আধা ঘণ্টা ওই জায়গায় আটকে থাকার পর বাড়তি পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে ওই পিকআপটি ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। তবে সব লাইসেন্সবিহীন চালকের ভাগ্য এতটা ভালো ছিল না। অনেককেই গাড়ির চাবি ফেরত পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে কাকুতি মিনতি করতে দেখা যায়। আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলে, “ লাইসেন্স না থাকার পরও এরা গাড়ি চালায়। এদের কারণে আমাদের ভাইয়েরা রাস্তায় মারা যাচ্ছে। লাইসেন্স ছাড়া কোনো গাড়ি রাস্তায় চলবে না।” ওই গাড়ির চালকের আসনে থাকা পুলিশ কনস্টেবল অরবিন্দ সমাদ্দার বলেন, “আমরা সরকারি চাকরি করি। লাইসেন্স না দেখে তো আর চাকরি দেয়নি। আমাদের গাড়িতে করে খাবার নেওয়া হয়। কাজের সময় আমরা লাইসেন্স নিয়ে বের হই না। কাগজ অফিসে থাকে।”