কামরানের হারে গণতন্ত্রের জয় দেখছেন মিসবাহ সিরাজ
সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের হারের মধ্যেও ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। কামরানের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বে থাকা এই নেতা বলেছেন, দলের প্রার্থীকে জেতাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন তারা। তবে শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের মতামতের প্রতিই শ্রদ্ধা তার কণ্ঠে। সোমবার (৩০ জুলাই) নির্বাচনে ১৩৪ কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২ কেন্দ্রের ফল বের হয়। তাতে ধানের শীষ প্রতীকে ৯০ হাজার ৪ শত ৯৬ ভোট পেয়ে জয়ের একদম দ্বারপ্রান্তেই আছেন বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৮ শত ৭০ ভোট। দুই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত থাকায় নির্বাচনের ফল এখনো বেসরকারিভাবে ঘোষিত হয়নি। ওই দুই কেন্দ্রের মোট ভোট ৪ হাজার ৭ শত ৮৭, তাই ৪ হাজার ৬ শত ২৬ ভোটে এগিয়ে থাকা আরিফের জেতাটা এখন কেবল আনুষ্ঠানিকতাই মাত্র।
এমন পরিস্থিতি বিএনপি যেমন জয়ের উৎসব সেরে ফেলেছে, সিলেটের আওয়ামী লীগও তেমনি মেনেই নিয়েছে হার। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা পর হারের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ এখানে দেখছেন গণতন্ত্রের জয়, ‘সিলেটে আওয়ামী লীগ চেষ্টা করছে কিন্তু পারেনি। এটাই তো গণতন্ত্র। দল একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রার্থীকে মনোনয়ন দিবে, প্রার্থী মাঠে নামবে এবং কাজ করবে। সফল হতেও পারে, নাও হতে পারে। সফল যে হতেই হবে এমন তো কোন নিশ্চয়তা নেই। ভোট হচ্ছে জনগণের।’ কামরানের নির্বাচন পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল মিসবাহ সিরাজের কাঁধে। তবে হারে নিজেদের বড় কোন দায় খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি বরং মানুষের মতামত মেনে নেয়ার পক্ষেই মত তার, ‘নির্বাচন পরিচালনা করতে ত্রুটি থাকতেই পারে। তবে মানুষের মতামত আমাদের মেনে নিতেই হবে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছে এবং কাজ করছে। আমরা চেষ্টা করেছি জেতার কিন্তু পারিনি।’ সিলেটে ভোটের মাঠে গুঞ্জন ছিল ব্যক্তি ইমেজের কারণেই আরিফের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন কামরান। কামরানের হার দলের হার নয় বলে ইঙ্গিত মিসবাহ সিরাজের কণ্ঠেও, ‘এখন আমি যদি পার্লামেন্ট ইলেকশনে দাঁড়াই। আর জনগণ যদি আমাকে ভোট না দেয় তাহলে এটা দলের দোষ না। জনগণ আমাকে পছন্দ করেনি, তাই ভোট দেয়নি। কিন্তু দল আমাকে পছন্দ করেছে, তাই আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে।’