অর্থমন্ত্রীর মন্তব্যের পর আলোচিত কে এই ‘গুণ্ডি’?
সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়রপ্রার্থীর প্রশংসা করলেও সংরক্ষিত আসনের দিবা রানী নামের এক নারী কাউন্সিলর প্রার্থীকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, এই শহরে একটা ‘গুণ্ডি’ আছে, দিবা রানী ‘গুণ্ডি’, আনারস প্রতীকের, সে যেন জিততে না পারে। এরপর থেকে মানুষের মধ্যে তাকে নিয়ে জানার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। তা কে এই দিবা রানী? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিবা রানীর পুরো নাম দিবা রানী দে ওরফে বাবলী। তার বাবার নাম বিপুল চন্দ্র মন্ডল, আর স্বামীর নাম মনিন্দ্রাঞ্জন দে। দিবা রানী তৎকালীন জাতীয় মহিলা পার্টির কর্মী ছিলেন বলে লোকমুখে শোনা যায়। তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনের ৫ নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ছিলেন। তবে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে শাহানা বেগম শানুর (ডলফিন) কাছে প্রায় এক হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন। সিলেট সিটি করপোরেশনের ওয়েবসাইটে তার বাড়ি ঠিকানা দেওয়া আছে, ১২/৩, নবপুষ্প, যতরপুর, সিলেট। গতবার কাউন্সিলর থাকাকালে ২০১৬ সালের মার্চে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সংরক্ষিত ৫নং ওয়ার্ডের পদ থেকে সামায়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় দিবা রানীকে। সে সময় অন্যের গৃহে অনধিকার প্রবেশ, নির্যাতন, চুরি ও লুটপাটের ৩টি মামলায় আদালতে চার্জািশট দাখিল ও গৃহীত হওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়। এর আগে, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে জমি দখল ও প্রতারণার মামলায় দিবা রানীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টা পর সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান সিলেট সিটি করপোরেশনের তৎকালীন এই নারী কাউন্সিলর। গত সোমবার অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি নির্বাচনের সময় আবারও আলোচনায় আসেন দিবা রানী। নির্বাচনে ভোট প্রদানের পর অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, এই শহরে একটা ‘গুণ্ডি’ আছে, দিবা রানী ‘গুণ্ডি’, আনারস প্রতীকের, সে যেন জিততে না পারে।
সোমবার রাতে আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তা ঘোষিত সংরক্ষিত ৫ আসনের কাউন্সিল নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা সেই দিবা রানী জিততে পারেননি। সিলেট সিটির নগরীর ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে সংরক্ষিত ৫ আসন। এ আসনে বিজয়ী হয়েছেন শাহানা বেগম শানু (ডলফিন)। তিনি পেয়েছেন ৬৮৫৪টি ভোট। তবে হারলেও আনারস প্রতীক নিয়ে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন দিবা রানী। তিনি পেয়েছেন ৫৭৫০ ভোট।সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন ।