ইউএনওর বিরুদ্ধে বিক্ষোভঃ আটক ১৭জন
জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া ;
তাহিরপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধা সন্তানসহ ৫৫জনের বিরুদ্ধে মামলা,আটক ১৭,এলাকায় উত্তেজনা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন । তাহিরপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক,মুক্তিযোদ্ধা সন্তানসহ ৫৫জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে ১৭জনকে। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ জানায়,গতকাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করে। এঘটনা সমাধান হলেও বিএনপি ও তার কর্মীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্ণেন্দু দেবের বিরুদ্ধে তার বাস ভবননে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল,সদর ইউপি চেয়ারম্যান বুরহান উদ্দিন,উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান উজ্জল,উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারন সম্পাদক তোজামিল হক নাসরুম,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান জহুর আলমসহ ৫৫জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ১৭জনকে আটক করা হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান,ঐ ঘটনায় আমাকে ও আমাদের দলের নেতাকর্মীদের অন্যায় ভাবে মামলায় জরিয়েছে। মিছিল করেছে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় এলাকাবাসী। কিন্তু সেই বিক্ষোব মিছিল ও আমি সহ আ,লীগের অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীরা এসে সবাইকেই শান্ত করি। এবং বিষয়টি মিমাংশা করার আশ্বাস দেই। এবং সেই অনুযায়ী কাজ করি। মিমাংশা হলে এরঅকার পরিবেশ শান্ত হয়। কিন্তু যারা মিছিল করেছে তাদের আটক ও মামলা না দিয়ে আমাকেসহ সবাইকে হয়রানী করা হচ্ছে।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নন্দন কান্তি ধর জানান,সরকারী বাসভবনে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগেই তাদের বিরোদ্ধে এসআই র্পাডন কুমার সিংহ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। মামলার আসামীদেও মধ্যে ১৭জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
উল্লেখ্য,এলাকাবাসী সূত্রে আরো জানাযায়,উপজেলা সদরের বাজার সংলগ্ন পাঠলাই নদীর তীরে তাহিরপুরের ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেনের অটো রাইসমিল রয়েছে। শনিবার(০৩,১১,১৮)রাতে মিলের মাঠে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাথর ও বালু এনে রাখছিলেন। এসময় বেলায়েত হোসেনের অনুপস্থিতিতে তার শ্রমিকদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের শ্রমিকদের মধ্যে এনিয়ে কথা কাটাকাটি হলে তারা রাতে এসে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে এসে বিষয়টি জানায়। এতে ক্ষুব্দ হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প‚র্ণেন্দু দেব রাইস মিলের মালিক বেলায়েত হোসেনকে ডেকে এনে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করেন। উপস্থিত স্থানীয় লোকজনের সামনে থেকে পরে তাকে দুজন লোক এগিয়ে এসে তাঁকে সরিয়ে দিলে তিনি সেখান থেকে চলে যান ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেন। এই ঘনা জানাজানি হলে,নিরীহ ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেনকে নির্যাতনের প্রতিবাদে ইউএনও’র অপসারনের দাবীতে ঝাড়– মিছিল করে বিক্ষুব্দ জনতা। রবিবার সকাল ১১টায় বিক্ষুব্দ জনতার জাড়– মিছিলটি উপজেলা সদরের আব্দুজ জহুর চত্বর থেকে শুরু করে তাহিরপৃুর বাজার ঘুরে এসে উপজেলা পরিষদে আবারো জড়ো হয় এবং ঝাড়– উছিয়ে অবিরত ইউএনওর অপসারন চেয়ে মিছিল করতে থাকে। মিছিলের সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে দ্রæত এসে উপস্থিত হন তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল,তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ নন্দন কান্তি ধর,উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি আলী মর্তুজা,তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন,উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা সাধারণ সম্পাদক হাফিজ উদ্দিনসহ এলাকার গন্যমান্যসহ অনেকেই। এই সময় উত্তেজিত জনতাকে তারা স্বান্তনা দিয়ে এই বিষয়টি দ্রæত নিষ্পত্তির করার জন্য আশ্বস্থ করলে উত্তেজিত বিক্ষুব্ধ জনতা শান্ত হয়। পরে উল্লেখিত ব্যাক্তিদের উদ্যোগে ঘন্টা ব্যাপী ইউএনওর বাসভবনে বসে এর মিমাংশা হয়। এবং ভুল বোঝা বুঝির অবশান ঘটে। আর ভুলের জন্য ইউএনওর দুঃখ প্রকাশ করেন।