নিউইর্য়কে বাংলাদেশী রাশিদা নিজ সন্তানকে ৪ তলার থেকে ফেলে হত্যা করেন..
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ২০ দিন বয়েসী পুত্রকে চতুর্থ তলার বাথরুমের জানাল দিয়ে নীচে ফেলে দিয়ে হত্যার দায় থেকে অবশেষে রেহাই পেলেন বাংলাদেশি রাশিদা চৌধুরী (২৫)। জ্বীন অথবা ভুতের আছর পড়েছিল রাশিদার ওপর। ভুতের নির্দেশেই একমাত্র পুত্রকে বাইরে ছুড়ে মারে বলে গ্রেফতারের পর রাশিদা পুলিশকে জানায়। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় ২০১৫ সালের ৮ আগস্ট ভোর রাতে নিউইয়র্ক সিটির রিচমন্ড হিল এলাকায়। নীচে কংক্রিটের ওপর পড়ে দিয়ে সাথে সাথে মারা যায় শিশুটি। এসময় এক ধরনের শব্দে ওই এপার্টমেন্ট ভবনের একজন পুলিশকে খবর দেন। গ্রেফতারের পর রাশিদাকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখে তদন্ত কর্মকর্তারা। প্রাথমিকভাবেই রাশিদাকে মানসিক রোগী/বিকারগ্রস্ত নারী হিসেবে সন্দেহ করা হয়। এ বিবেচনায় রিকার আইল্যান্ড কারাগারের নির্জন কক্ষে আটকের সময় মাঝেমধ্যেই মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং সমাজ-সংগঠকরা তার সাথে সাক্ষাৎ করে নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। আদরের পুত্র রিদওয়ান আহমেদকে তিনি কেন হত্যায় প্রবৃত্ত হলেন সে প্রসঙ্গেও একাধিকবার কথা হয় তার সাথে। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে আলোচনার সময় সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত/মন্তব্য অবহিত হন তদন্ত কর্মকর্তারা। এক পর্যায়ে গত সপ্তাহে রাশিদাকে হত্যার দায় থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছেন আদালত। কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট এটর্নীর মুখপাত্র ইকিমুলিসা লিভিঙ্গসটন গতকাল শুক্রবার এসব তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে, এখন তাকে আরো বিস্তারিতভাবে পরীক্ষা-পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তারপরই রাশিদার ইচ্ছা অনুয়ায়ী তার স্বামী মোহাম্মদ আহমেদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হতে পারে অথবা রাশিদার মা-বাবার দায়িত্বেও ছেড়ে দেয়া হতে পারে।