কমান্ডোদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাবেক ভারতীয় সেনা কর্মকর্তারা
কাউন্টার টেররিজম বিশেষষজ্ঞ ভারতীয় সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন প্রাক্তন কর্মকর্তা সিলেটর আতিয়া মহলের ‘অপারশেন টোয়াইলাইটে’ অংশগ্রহনকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো সদস্যদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তাদের মতে, আমাদের (ভারতীয়) অনেক কিছুই শেখার আছে তাদের কাছ থেকে। কাশ্মীরে নিযুক্ত ভারতীয় সৈন্যদলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ভারতীয় বাহিনীর সাবেক লে. জেনারেল জন রঞ্জন মুখার্জী বলেন, বাংলাদেশি কমান্ডোরা তাদের কর্মক্ষমতা ও ধৈর্যের সর্বোচ্চ পরীক্ষায় উচ্চস্তরের পারদর্শিতা দেখিয়েছে। নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে শনিবারের ভয়াবহ বোমা হামলাও তাদের লক্ষ্যবস্তু থেকে দূরে সরাতে পারেনি। আত্মঘাতী জঙ্গিদের হুমকি মোকাবেলায় স্নাইপারের ব্যবহারও ছিলো এক অভূতপূর্ব সঠিক সিদ্ধান্ত। এছাড়া তিনি ‘অপারেশন টোয়ালাইট’ এর সংশ্লিষ্ট সকল সেনাসদস্য এবং জিওসি মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেনসহ প্যারা কমান্ডোর নেতৃত্ব দানকারী লে. কর্নেল ইমরুল হাসানের ব্যাপক প্রশংসা করেন।
আরও একধাপ এগিয়ে আসাম রাইফেলসের সাবেক উপ-প্রধান মেজর জেনারেল অরুণ রায় জঙ্গি উৎখাতে সফল অপারেশন পরিচালনার জন্য তার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে বাংলাদেশের অকুতোভয় সেনাবাহিনীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ধরণের অপারেশনের ক্ষেত্রে প্যারা কমান্ডোদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ খুবই ফলপ্রসূ সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত দেয়। এমন পরিস্থিতিতে ভারতে প্রায়শঃই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদেরা হস্তক্ষেপ করেন। তিনি আরও বলেন, সিলেটে এ ধরণের কোন দ্বন্দ্ব তৈরি না হওয়াটা খুবই ভালো লক্ষণ।
শ্রীলঙ্কায় পরিচালিত জাফনা অপারেশনে ভারতীয় সৈন্যদলের নেতৃত্বদানকারী সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল কে কে গাঙ্গুলী বলেন, ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ প্রমাণ করে দিয়েছে যে বাংলাদেশি কমান্ডোরা এ ধরণের যেকোনো অপারেশনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। এটি বাংলাদেশি সৈন্যদেরকে আরো নির্ভরযোগ্য করে তুলেছে। তিনি জাতিসংঘের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই সাফল্যের প্রশংসা তুলে ধরার দাবী জানান।