দু’বছরে ৮ হাজারের বেশি মিথ্যা বলেছেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দু’বছর পূর্ণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে ট্রাম্পকে নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস হচ্ছে। সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই দু’বছর অর্থাৎ ৭৩০ দিনে ট্রাম্প ৮ হাজারের বেশি মিথ্যা, ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করেছেন। দিনে গড়ে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১১টিরও বেশি। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্ষমতায় আসার প্রথম বছরে ট্রাম্প দৈনিক গড়ে ৫ টির বেশি মিথ্যা বলতেন। দ্বিতীয় বছরে সেই হার দৈনিক গড়ে ১৬ টিরও বেশি। অর্থাৎ প্রথম বছরের প্রায় তিনগুণ! ওয়াশিংটন পোস্টের ওই প্রতিবেদনের পর যুক্তরাষ্ট্রে তো বটেই, বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে গেছে। প্রতিবেদনের জন্য ট্রাম্পের প্রতিটি সন্দেহজনক বিবৃতি ও মন্তব্যের ক্ষেত্রে ‘ফ্যাক্ট চেকার্স’-এর তথ্যভাণ্ডার উল্লেখ করে দেখানো হয়েছে, সেটি ভুয়া বা মিথ্যা কিনা। এতেই ফলাফল এসেছে ৮ হাজার ১৫৮টি। প্রথম বছরে সংখ্যাটা কম হলেও দ্বিতীয় বছরেই ট্রাম্প ৬ হাজারের বেশি মিথ্যা কথা বলেছেন। প্রেসিডেন্ট পদে বসার প্রথম একশো দিনে কোনও তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই ৪৯২টি মন্তব্য করেছিলেন তিনি। আর চলতি বছরের প্রথম কয়েক সপ্তাহেই তা টপকে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রাক্কালে। সেই সময় সংখ্যাটি পৌঁছেছিল ১২শ।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প সবচেয়ে বেশি মিথ্যা বলেছেন এবং ভুল তথ্য দিয়েছেন অভিবাসন ইস্যুতে। এ ক্ষেত্রে তার ‘কৃতিত্ব’ হয়েছে ১ হাজার ৪৩৩ টি মিথ্যা বলার। দুই এবং তিন নম্বরে যথাক্রমে রয়েছে বিদেশ নীতি ও বাণিজ্য। এই দুই বিষয়ে তিনি যথাক্রমে মিথ্যা বলেছেন ৯শ এবং ৮শ ৫৪টি। অর্থনীতি বিষয়ে মিথ্যা বা ভুল তথ্য দিয়েছেন ৭শ ৯০টি এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ৭শ ৫৫টি। তবে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত তদন্ত নিয়ে তার ভিত্তিহীন দাবি মাত্র ১৯২টি! ওয়াশিংটন পোস্টের ব্যাখ্যা, প্রেসিডেন্টের প্রথম একশো দিনেই মিথ্যা বলার নজিরের সঙ্গে তারা তাল মেলাতে পারছিল না। তাই এই পরিকল্পনা শুরু করা হয়েছিল, যাতে তার মিথ্যা বলার হিসাব রাখা যায়। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে। দু’বছরে ৮২ দিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোনও মিথ্যা বলেননি! কারণ, সেই কয়েকদিন তিনি গলফ খেলতেই ব্যস্ত ছিলেন।