হাসি ফিরেছে নাহিদার মুখে
দরিদ্র পরিবারের মেয়ে নাহিদা আক্তার। সদ্য এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ (গোল্ডেন) অর্জন করেছে। মেধাবী নাহিদা জিপিএ-৫ অর্জন করেও মুখে হাসি ছিল না। কলেজে ভর্তি হতে পারবে কিনা এই চিন্তাই তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। লেখাপড়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিল নাহিদা। শেষ পর্যন্ত নাহিদার মুখে হাসি ফুটালেন প্রয়াত এমপি পুত্র ময়েজ উদ্দন শরীফ রুয়েল। তিনি তার উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ালেখার খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন। এ খবরটি শুনে নাহিদা লেখাপড়ার করার জন্য নতুন করে স্বপ্নের বীজ বুনতে শুরু করেছে। তার ইচ্ছে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে ভালো মানুষ হওয়া।
হবিগঞ্জের বানিয়াচং সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ (গোল্ডেন) পেয়েছে নাহিদা আক্তার। কিন্তু এমন ভালো ফল অর্জন করলেও তার মুখে হাসি ফোটেনি। দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হওয়ায় কলেজে ভর্তি হয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় তাকে। কারণ পরিবারের পক্ষে তার লেখাপড়ার খরচ বহন করা কোনো কিছুতেই সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ নেতা ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল জানান- তার পিতা বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৯৯৬ সালে মারা যাওয়ার পর তারা অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। চিন্তায় পড়েছিলেন তাদের ভবিষ্যত নিয়ে। তার বয়স তখন ১২ কি ১৩ ছিল। তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাদের খাওয়া-দাওয়াসহ লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে নেয়ার ঘোষণা করেছিলেন। তখন তার মা মাঝে মধ্যে ঢাকায় গিয়ে এসব নিয়ে আসতেন। সুতরাং আমি অসহায়ের কষ্ট বুঝি। আমি চাই কোনো মেধাবী যেন টাকার অভাবে তার লেখাপড়া বন্ধ না করে। তিনি জানান- আগামী দুই বছর নাহিদার যাবতীয় খরচ আমার পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত শরীফ উদ্দিন আহমেদ পাঠাগারের পক্ষ থেকে বহন করা হবে।