:: সুজাত মনসুর এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে;;

বঙ্গবন্ধু কন্যা ও জননেত্রী শেখ হাসিনা গত পয়লা মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত বিলেতে অবস্থান করে গেলেন। তিনি এসেছিলেন চোখের অপারেশনের জন্য। আলহামদুলিল্লাহ তিনি চোখে সফল অপারেশনের পর সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে গেছেন। তাঁর বিলেত অবস্থানকালে প্রতিবারের ন্যায় এবারো বিশ্ব সন্ত্রাসী তারেকের বাহিনী তাজ হোটেলের সামনে নর্দন কুর্দন করেছে আর অশালীন  ভাষায় গালিগালাজ ও শ্লোগান দিয়েছে । তাদের মোকাবেলায় ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিজেদের শক্তি সামর্থ্য সম্পর্কে জানান দেবার জন্য প্রতিদিনই যুক্তরাজ্য আওয়ামী  লীগের পক্ষ থেকে ম্যাসেজ পাঠিয়ে তৃণমূলের কর্মীদের হোটেলের সামনে জমায়েত হতে আহবান জানানো হতো।
সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে তৃণমূলের কর্মীরা রোদ-বৃষ্টি-ঠান্ডা উপেক্ষা করে জমায়েত হয়েছে। পাল্টা শ্লোগান দিয়েছে। ডিম নিক্ষেপ থেকে শুরু করে হাতাহাতি পর্যন্ত  করেছে। রোজা রেখেও তা করেছে। কাজ-কর্ম, ব্যবসা বন্ধ রেখেছে। অনেকে দূর দূরান্ত থেকেও এসেছে। মনে একটাই বাসনা যদি একনজর হলেও প্রিয় নেত্রীর দেখা পায়। কিন্তু সে আশা তাদের  পুরণ হয়নি। নেত্রীর সাথে যখন দেখার সময় নির্ধারিত হলো তখন তাদের নিকট ম্যাসিভ গেদারিং দাওয়াত আসেনি। তবে গোপন ফোন কল গিয়েছে নির্দিষ্ট কিছু মানুষের কাছে, যাদের কাছে এরকম ফোন কল প্রতিবারই যায় যখন নেত্রীর সাথে  দেখা করার সুযোগ হয়। এই ভাগ্যবান ব্যক্তিরা হলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের অফিসার আর তাদের আত্মীয় স্বজন এবং নিজস্ব বলয়ের লোক।
এক্ষেত্রে সব ‌‌’অফিসারই’ পারদর্শী। প্রতিবারই তারা নেত্রীর সাথে দেখা করেন তবুও তৃষ্ণা মিটেনা। কিন্তু কেন? এটাই কি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির শিক্ষা? এভাবে আর কতদিন চলবে?  এর হিসাব একদিন দিতে হবে। তৃণমূলের কর্মীরা যদি পরের বার তথাকথিত ম্যাসিভ গেদারিং-এর ম্যাসেজে সাড়া না দেয় তাহলে তাদের দায়ি করা যাবে কি? মনে রাখবেন দিনে দিনে বহু বাড়িতেছে দেনা শুধিতে হবে ঋণ।
লেখক: যুক্তরাজ্য প্রবাসী

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn