সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হয়েছে সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণের জন্য:, সাংবাদিকদের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য নয়। আমরা এ বিষয়ে মনিটরিং করছি। তবে এটিকে আরও কঠোরভাবে মনিটরিং করতে চাই।’ রবিবার (১৯ মে) সচিবালয়ের আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘দুই কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা আজ (রবিবার) আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। একটি হচ্ছে, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনকে ‘বি’ গ্রেড থেকে ‘এ’ গ্রেডে উন্নীত করতে তারা আমাদের সহায়তা করতে চায়। সে বিষয়ে তারা কিছু পরামর্শ দিতে চায়। আর অন্য হচ্ছে— ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০১৮ এর বিষয়ে কিছু মতামত দেওয়ার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সরকারকে মনিটরিং বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। ইউরপীয় ইউনিয়নের নেতারা মনে করেন, সঠিক মনিটরিংয়ের অভাবে হয়তো এই আইনের কিছু অপব্যবহার হচ্ছে।’ আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট মনিটরিংয়ের বিষয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমরা বলেছি, উচ্চপদস্থ একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে দায়ের করা মামলা মনিটরিং করার জন্য। তবে সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত হলে জানাবো।’ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনকে ‘বি’ গ্রেড থেকে ‘এ’ গ্রেডে আনার জন্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষেত্রে যে সার্চ কমিটি রয়েছে, সেই কমিটিতে সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধির অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের রাষ্ট্রদূতরা। তারা বলেছেন, যদি এটি করা হয় এবং এর মাধ্যমে যদি চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন, তাহলে বাংলাদেশে মানবাধিকার কমিশনের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।’