ভারতে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা, কে বসবেন মসনদে
বুধবার ২২টি বিরোধী দলের নেতাদের উদ্বেগ শুনতে এবং তা নিয়ে আলোচনা করতে নয়া দিল্লিতে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। বিরোধী ২২ দলের ওই নেতারা মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের প্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তারা এ সময় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর বিষয়ে এবং ভিভিপ্যাট ব্যবহারের বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান মঙ্গলবার বলেছেন, তার নির্বাচনী আসন রামপুর। সেখানে তিনি যদি কমপক্ষে ৩ লাখের বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী না হন তাহলে ধরে নিতে হবে যে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি ভারতের কোথাও। পশ্চিমবঙ্গের চিত্রটা অন্যরকম। ভোট গণনার দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের রাজধানীতে ৪০০০ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হবে। ভোট গণনা কেন্দ্রে এরই মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় দুই শতাধিক কোম্পানি। যৌথবাহিনী সেখানে যেকোনো রকম সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় থাকবে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলো নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ভোট গণনা কেন্দ্রের প্রধান ফটকের বাইরে সিটি পুলিশের পাশাপাশি কলকাতা আর্মড পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কলকাতায় ১৩টি স্থানে ভোট গণনা করা হবে। পাঞ্জাবের অমৃতসর আসনে ‘পোলিং বুথ নম্বর ১২৩’-এ ভোট গ্রহণ চলছে। নির্বাচন কমিশন এখানে নতুন করে ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়। এখানে বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়।
ওদিকে বুধবার কংগ্রেসের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে এক বৈঠক আহ্বান করেন ইউপিএ চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী। এতে ভোটপরবর্তী কৌশল নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। জোটের সব সিনিয়র নেতা, সাধারণ সম্পাদক, পার্টির ‘ইনচার্জ’দেরও আহ্বান করা হয় এ বৈঠকে। আরেকটি বৈঠক হওয়ার কথা আজ ২৩শে মে। সূত্রমতে, চারজন নেতাকে নিয়ে একটি টিম গঠন করা হবে। তারা এনডিএ পার্টি বিরোধী একটি একীভূত ফ্রন্ট গড়ে তুলবেন। ওদিকে ইভিএম নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের বিশ্বাসযোগ্যতায় মঙ্গলবার সমালোচনা করেছেন ভারতের আইনমন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ। বলেছেন, বিরোধীদের পরাজয় মেনে নিতেই হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদি আরো একবার ম্যান্ডেট পেয়ে যান তাহলে তাদের সামনে আর কোনো বিকল্প থাকবে না।