এক নেতার এক পদ: ডেডলাইন ৫ এপ্রিল
ঢাকা: দলে ‘এক নেতার এক পদ’ নীতি কার্যকর করতে কোনো প্রকার ছাড় দিচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির যেসব নেতা দলের একাধিক পদে রয়েছেন ৫ এপ্রিল ডেডলাইন দিয়ে তাদেরকে সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়েছে। এই ডেডলাইনের পর তাদের পদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন দলীয় হাইকমান্ড। তখন সংশ্লিষ্ট নেতাদের কোনো অজুহাত ও আবদার বিবেচনা করা হবে না। বিএনপির একটি নির্ভরশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৫ এপ্রিলের মধ্যে যদি কোনো নেতা এক পদ রেখে অন্য পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদনপত্র কেন্দ্রে জমা না দেন, তাহলে সেই নেতার একটি পদ হাইকমান্ড থেকে নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে। তবে সংশ্লিষ্ট নেতা যদি জেলায় থাকতে চান, তাহলে তাকে কেন্দ্রীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে। তেমনি সংশ্লিষ্ট নেতা যদি জেলার পদ ছেড়ে কেন্দ্রীয় পদে থাকার আগ্রহ পোষণ করেন তাহলে তাকে জেলার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে কেন্দ্রীয় পদেই রাখা হবে। মোট কথা নেতার পছন্দ বা ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয়া হবে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের পদে থেকে যারা বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন তাদেরকেও একটি পদ রেখে অন্য পদ থেকে অব্যাহতি দিতে হবে বলে জানায় সূত্রটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতিমধ্যে একাধিক পদে থাকা নেতাদের মধ্যে ৫২ জন্য এক পদ রেখে অন্য পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন। এবং মাত্র ২০ জন এখনো আবেদন করেননি। দু’তিন দিনের মধ্যে তারাও আবেদন করতে পারেন। এছাড়া সম্প্রতি যারা বিভিন্ন জেলায় নতুন করে নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরকেও ইতিমধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে-দলের ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে এক ব্যক্তি দলে একাধিক পদে থাকতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কিন্তু অতি সম্প্রতি আপনি জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বিধায় কেন্দ্রীয় পদ থেকে আপনাকে অব্যাহতি দেয়া হলো। যা শিগগিরই কার্যকর হবে।’
বৃহৎ কমিটি ঘোষণার পর হঠাৎ ছোট করা কতটা শোভনীয় হবে এমন প্রশ্নের জবাবে সংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে জড়িত দলটির একজন প্রভাবশালী নেতা ব্রেকিংনিউজ.কম.বিডিকে বলেন, ৫০২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিই থাকতে হবে দলের গঠনতন্ত্রে এমন কোনো ধারা কিংবা বাধ্যবাধকতা নেই। কমিটি একশ’ সদস্য বিশিষ্টও হতে পারে আবার এক হাজার সদস্য বিশিষ্টও হতে পারে। কমিটি বড় করেছি এবার দলের নেতৃত্বে গতিশীলতা বৃদ্ধির প্রয়োজনে। ‘এক নেতার এক পদ’ কার্যকর করা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে বিশেষ বিবেচনা করার এখতিয়ার একমাত্র বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার।