খাদ্যের মতো আওয়ামী লীগেও ভেজাল ঢুকেছে: নাসিম
‘নিরাপদ খাদ্য ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। ছবি: যুগান্তর খাদ্যের মতো রাজনীতিকেও ভেজালমুক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘নিরাপদ খাদ্য ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মোহাম্মদ নাসিম। ভেজাল ও মাদকবিরোধী আন্দোলন এ সেমিনারের আয়োজন করে। তিনি বলেন, খাদ্যের মতো রাজনীতিতেও ভেজাল ঢুকে পড়েছে। এসব ভেজালমুক্ত করতে হবে। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় তাই এখানেও কিছু ভেজাল প্রবেশ করেছে। ‘নব্য আওয়ামী লীগারের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভেজাল ও মাদকবিরোধী আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে নাসিম মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় আছে তো, কিছু ভেজালকারী ঢুকে গেছে।’
গত ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগে ভিন্ন আদর্শের মানুষের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই বছরই আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। তাতে অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দেয়ার কথাও বলেন নাসিম। তিনি বলেন, ভেজালের বিরুদ্ধে তো অভিযান চলছে। আগামী কাউন্সিলে ভেজালমুক্ত করার জন্য চেষ্টা করা হবে ইনশাআল্লাহ। এই ভেজাল, নব্য আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরা অনেক সময় আমাদের জন্য ক্ষতিকর। তিনি বলেন, পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে সংগঠনের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। অনেক সুবিধাবাদীরাও সংগঠনের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। এই অনুপ্রবেশকারীদের আমাদের সংগঠনে দরকার নেই। যারা ঢুকেছিল, ধীরে ধীরে তাদেরকে বের করে দিতে হবে। সেই কার্যক্রম আমাদের শুরু করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ভেজাল খাদ্য আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মেধাশূন্য করে দিচ্ছে। ভেজাল খাদ্য খেয়ে গর্ববর্তী মায়েরা যে সন্তান জন্ম দিচ্ছে সে সব সন্তান অনেক সময় বিকলাঙ্গ হচ্ছে। আমাদের উচিত কঠোর আইন করা। তিনি আসন্ন সংসদ অধিবেশনে এ বিষয়ে বিস্তর আলোচনা করে কঠোর আইন করতে দৃষ্ঠি আকর্ষণ করবেন বলেও জানান। সেমিনারে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের প্রফেসর আ ব ম ফারুক, বাংলাদেশ গণআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসকে শিকদার ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি আবুল খায়ের প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।