সিলেট:: গতবছরের ৩০ জুলাই একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে সিলেট, খুলনা ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। তিনটির মধ্যে সিলেট ছাড়া বাকি দুটিতে বিজয়ী হন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী। আর সিলেটে জয় পান বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। নির্বাচনে বিজয়ের প্রায় দশ মাস পর রাজশাহীর মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও খুলনার মেয়র তালুকদার আবদুল খালেককে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা দিয়েছে সরকার। আর সদ্য ঢাকা উত্তর সিটি উপনির্বাচনে বিজয়ী হওয়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলামকে দেয়া হয়েছে পূর্ণ মন্ত্রীর পদমর্যাদা। মঙ্গলবার তিন মেয়রের পদমর্যাদা নির্ধারণ করে আদেশ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। একই সাথে নির্বাচিত হওয়া তিন সিটির মধ্যে সিলেটের আরিফ ছাড়া বাকি দু’জন পেয়েছেন প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা। আজ থেকে তাদের গাড়িতে যুক্ত হবে জাতীয় পতাকা। কিন্তু বঞ্চিত থেকে গেলেন সিলেটের আরিফুল হক চৌধুরী। পূর্বে সিলেটের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেয়েছিলেন।
এ ব্যপারে মেয়র আরিফ সিলেটভিউকে বলেন- ‘আমাকে এই সিলেটের মানুষ ভোট দিয়ে টানা দুইবার মেয়র নির্বাচিত করেছে। এতেই আমি খুশি। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পাওয়ার লালসা আমার নেই। সরকার কাকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা দেবে সেটি সরকারের বিষয়। এ বঞ্চনা আমার নয়, পুরো সিলেটবাসীর। সিলেটবাসী বুঝবেন সিলেটের চেয়ে রাজশাহী, খুলনার মেয়রকে কেন প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা দেয়া হল। তিনি আরো বলেন- ‘বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে সিলেটে তৎকালীন মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেয়েছিলেন। কিন্তু, দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেও তিনি সেটি পাননি।’ যদিও সিটি করপোরেশন আইনে মেয়রদের পদমর্যাদার বিষয়ে কিছু বলা নেই। বিভিন্ন সময়ে সরকার কোনো কোনো মেয়রের পদমর্যাদা নির্ধারণ করে দেয়। বর্তমানে বাংলাদেশের ১২টি সিটির মেয়রদের মধ্যে মন্ত্রী পদমর্যাদার আছেন দু’জন। আরো দু’জন প্রতিমন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ সিটির মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী উপমন্ত্রীর পদমর্যাদা ভোগ করেন।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn