আনন্দের হাসি
মশিউর রমান এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকেঃঃ
আজ সকালে বাহিরে কাজ ছিল। বাসায় থেকে বের হয় মূল রাস্তায় দাড়াঁতেই একটি খালি রিক্সা যাচ্ছিল। বয়স্ক ড্রাইভার। জীর্ন শীর্ণ পোশাক। হাতে ইশারা করতেই সামনে এসে দাড়াঁল। রিকসায় উঠলাম। নির্দিষ্ট গন্তব্যের কথা বলতেই ড্রাইভার রিকসা চালাতে শুরু করল। কাজ শেষ করে একই রিকসা দিয়ে বাসায় ফিরে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কিছু অতিরিক্ত ভাড়া লোকটির হাতে দিলাম। ঈদের বকশিস হিসেবে। টাকাটা হাতে নিয়েই লোকটা একটা মুশকি হাসি দিল। কোন কথা বলেনি। এই হাসিটা ছিল ভালোবাসার। অানন্দের। তৃপ্তির। ঈদে সবারই বাড়তি টাকার প্রয়োজন।
অনেকেই কলমের খোচাঁয় লাখ টাকা বাড়তি হাতিয়ে নেন। বউ বাচ্চাদের জন্য বড় বড় মার্কেটে গিয়ে দামি পোষাকটা কিনেন। তথাকথিত সুখী মানুষ হিসেবে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেন। কিন্তু একজন শ্রমজীবি মানুষ হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে দুটো টাকা বাড়তি উপার্জন করেন। তাই বাড়তি কিছু টাকা বকশিস পেলে তাদের মুখে হাসি ফুটে। কোন কথা না বললেও এই হাসিটার মধ্যে থাকে নিখাদ ভালোবাসা। ভালোবাসা আছে বলেই পৃথিবী এতো সুন্দর। ভালোবাসা আছে বলেই পৃথিবী ছেড়ে কেহ বিদায় নিতে চায় না। অাসুন এবারে ঈদে এই ভালোবাসা ছড়িয়ে দিই। না চাইতেই শ্রমজীবি, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের হাতে কাজের নির্ধারিত মজুরির সাথে বাড়তি কিছু বকশিস হাতে তুলে দেই। ঈদ হোক সবার জন্যে আনন্দময়।